Manipur: হিংসার আগুনে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, ৩টি মূল মামলার তদন্তে এনআইএ

NIA: অশান্ত মণিপুরে কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর, ইম্ফলে জারি কার্ফু...
Manipur_Violence
Manipur_Violence

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে (Manipur) নতুন করে হিংসা ছড়াল রবিবার রাতে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক যুবকের। জিরিবাম জেলায় ঘটে এই সংঘর্ষ। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে এটা সত্য, তবে কে বা কারা ওই গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ (NIA) মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার তিনটি মূল মামলার তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ। রবিবার মহারাষ্ট্রে প্রচার কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্র মারফত জানা যায়, দিল্লি ফিরেই মণিপুর নিয়ে জরুরি বৈঠক সারেন তিনি। পরেই মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিয়েছে শাহের মন্ত্রক। মণিপুর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলাগুলিকে নেয় এনআইএ (NIA)। 

কুকিদের বিরুদ্ধে মহিলা-শিশুদের অপহরণ ও খুনের অভিযোগ

সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষের পরেই। তখন এই মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে  পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা ওই তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবার জিরিবাম জেলার জিরি নদী থেকে বৃদ্ধা এবং এক শিশুর দু’টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে, শনিবারও পাওয়া গিয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। 

কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসেও ভাঙচুর (Manipur)

এই ঘটনায় হিংসা আরও ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, জিরিবাম এলাকাতে বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ও বিজেপির পার্টি অফিসও ভাঙচুর করে। জিরিবামের বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। শনিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। রবিবার জিরিবাম থানা এলাকার বাবুপাড়া এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বাহিনীর সংঘর্ষ বাঁধে। একাধিক জায়গায় ভাঙচুর করা হয়। এরই মধ্যে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। এর পরই, পশ্চিম ইম্ফল এবং পূর্ব ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়। সাত জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। 

২০২৩ থেকে অশান্ত মণিপুর (Manipur) 

কুকি ও মেইতেইদের বিরোধের জল প্রথমে গড়ায় মণিপুর হাইকোর্টে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে হাইকোর্ট জানায় যে, মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির তকমা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরেই ২০২৩ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের (Manipur) 'অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন' একটি মিছিল আয়োজন করে। সেই মিছিল থেকে প্রথম হিংসা ছড়ায় চূড়াচাঁদপুর জেলায়। অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) এখনও পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল এক বিভীষিকার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা ঘটে ২০২৩ সালের ৪ মে তবে ভিডিও ভাইরাল হয় জুলাই মাসে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles