মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। হিংসা ছড়িয়েছে সে রাজ্যের একাধিক জেলায়। কার্ফু জারির পরেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। রবিবার জিরিবাম জেলার জিরি নদী থেকে বৃদ্ধা এবং এক শিশুর দু’টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তার আগে, শনিবারও পাওয়া গিয়েছিল তিনটি মৃতদেহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঠিক এই আবহে, আজ সোমবার দুপুর ১২টায় উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সব মহল।
উদ্বাস্তু শিবির থেকে অপহরণ করা হয় মেইতেই সম্প্রদায়ের ৬ জনকে
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পরেই (Manipur) পশ্চিম ইম্ফল এবং পূর্ব ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়। সাত জেলায় বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট। সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয় জনকে অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মণিপুরের কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে ফের অশান্তি ছড়ায় মণিপুরে। প্রসঙ্গত মণিপুরের (Manipur) উদ্বাস্তু ক্যাম্পে থাকা তিন জন মহিলা সহ তিনজন শিশু হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি জঙ্গিদের সংঘর্ষের পরেই। তখন এই মেইতেই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, তাঁদেরকে অপহরণ করেছে কুকি জঙ্গিরা। গত ১১ নভেম্বর একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা বোরোবেকরা অঞ্চলে পুলিশ স্টেশনের হামলা চালায়। জানা যায়, হামলা চালানোর পরে সেখান থেকে ফেরার সময় তারা ওই তিন মহিলা সহ তিন শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ৬ জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
সমর্থন তুলল এনপিপি, পড়বে না কোনও প্রভাব
এই অবস্থায় সে রাজ্যে বিজেপির শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ইতিমধ্যে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখেছে। তারা জানিয়েছে, মণিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এরপরে এনপিপি সরকার থেকে সমর্থন তুলেছে। তবে এতে কোনও প্রভাব পড়বে না। প্রসঙ্গত, ৬০ আসন বিশিষ্ট মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির একারই রয়েছে ৩৭ বিধায়ক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours