মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। আপনাদের ভয় পেয়েই পাহাড়ে পালিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।" চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। আর ২০২৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার হুমকি দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "১৫ মাস সময় দিন, ভাইপোকে জেলে পাঠাব।"
রাজ্যে নিয়োগ হবে না (Suvendu Adhikari)
সোমবার থেকেই ফের চাকরির দাবিতে পথে নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। নবান্নের কাছেই হাওড়ার মন্দিরতলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রুপ ডি ওয়েটিং ঐক্য মঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভকারীদের মঞ্চে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা একদিন জয়যুক্ত হবেন। তবে চাকরিতে এই সরকারের আমলে কতটা নিয়োগ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এই জটিলতা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, উনি শুধু ভোটের রাজনীতি বোঝেন। লিখে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গে যতদিন না ওবিসির জট কাটছে, একটাও নিয়োগ হবে না।"
আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র
লং মার্চ!
শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, "জানুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে লং মার্চ হবে। লাখো লাখো বেকার ছেলে-মেয়ে নবান্ন অভিযানে পথে নামবেন।" শুধু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানই নয়, এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, "টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙে, তাহলে আগামী দিনে পুলিশকে বাঁচানো সম্ভব হবে না"
দুর্নীতি নিয়ে সরব
নিয়োগ মামলায় জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, "টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে। মেধা-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রী যোগ্যদের চাকরি দেননি।" বাম আমলের সঙ্গে বর্তমান তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির হিসেব সামনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, "বাম আমলে ৫ লক্ষ মানুষ বাইরে কাজে যেত। এখন ৫৫ লক্ষ মানুষ কাজে যান। রাজ্যে বেকারের সংখ্যা ২ কোটি।" উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি পদে পরীক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীরা তালিকাভুক্ত হন, ইন্টারভিউও হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু পাঁচ বছর হতে চললেও মেলেনি নিয়োগ। আগেই চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে প্রশাসনের তরফে গ্রিন সিগন্যাল না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। এরপরই নবান্নের অদূরে মন্দিরতলায় ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি মেলে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মঞ্চে দেখা যায় কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া কৌস্তভ বাগচীকেও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours