মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন কলকাতা পুলিশ (Kolkata police) গ্রেফতার করছিল পুরসভার মেডিক্যাল টিমের প্রতিনিধি তপোব্রত রায়কে। তাঁর অপরাধ ছিল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বুকে ব্যাজ পরে ডিউটি করছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ডাক্তার। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (High court) দ্বারস্থ হলেন প্রতিবাদী ওই ডাক্তার।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High court)
১৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন অনশনকারী চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরে কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের (High court) হয়ে এমারজেন্সি ডিউটি করছিলেন তপোব্রত রায়। এর জেরে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীনই তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সাধারণ মানুষও জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে অনুমান করে গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাধ্য হয়ে তপোব্রত রায়কে ছেড়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও দুঃখপ্রকাশ করা হয়নি। পদক্ষেপ নেয়নি কলকাতা পুরসভাও। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ওই ঘটনার বিচার এখন করবে আদালতই।
আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের
'প্রতীকী অনশন' শুরু
তপোব্রতবাবুর মামলার (High court) আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে। অন্যদিকে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও অন্যায় ছাড়াই তপোব্রত রায়কে গ্রেফতার করার জন্য কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসকরা। তপোব্রত রায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার নিন্দা কেন করা হয়নি? কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেডলাইন দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই ঘটনার প্রতিবাদে 'প্রতীকী অনশন' শুরু হয়। আর কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তোলা হয়। এক, চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে পুলিশের আটক করার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা করতে হবে। দুই, পুলিশকে তপোব্রত রায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। তিন, কলকাতা পুরসভার চিকিৎসককে অপমান করা হয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবি এখনও মানা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুরকর্তারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours