মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেন ত্রিপুরার বাঙালি মেয়ে দীপা কর্মকার। চলতি বছরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ভল্ট থেকে সোনা এনেছেন। তাই এই সময়কেই সরে যাওয়ার জন্য সেরা সময় বলে ব্যাখ্যা করলেন দেশের প্রথম অলিম্পিক জিমন্যাস্ট। ২০১৬ অলিম্পিকে অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ হাতছাড়া করেছিলেন দীপা। সেই আক্ষেপ আর মিটবে না।
আক্ষেপ অলিম্পিক
চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় টিমের বাইরে ছিলেন। নির্বাসনের কারণে প্রায় ২ বছর নামতে পারেননি ফ্লোরে। তবুও দীপা ভারত তো বটেই, এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্সে অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। অলিম্পিকের আগে নির্বাসন থেকে ফিরে জাতীয় সেরা হয়েছিলেন। তাও প্যারিস অলিম্পিকের টিমে জায়গা করতে পারেননি। সেই আক্ষেপ বোধহয় অবসেরর দিকে ঠেলে দিল দীপাকে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিলেন দীপা। প্রোদুনোভা নিয়ে অনেক আলোড়ন পড়েছিল। কিন্তু ফাইনালে অল্পের জন্য তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। সোনা জেতেন আমেরিকার সিমোনে বাইলস। দীপা হন চতুর্থ।
কী বললেন দীপা
দীপা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'সেই ৫ বছরের দীপার কথা খুব মনে পড়ছে। যারা আমাকে বলেছিল আমি কোনও দিন জিমন্যাস্ট হতে পারব না। আজ ওই দীপাকে দেখে আমি খুশি হই কারণ সে স্বপ্ন দেখার সাহস রেখেছিল।' ত্রিপুরার ৩১ বছরের মেয়ে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। অনেক ভেবেচিন্তে তবেই এই জায়গায় এসে পৌঁছতে পেরেছি। এটাই সেরা সময়। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিচ্ছি। এই ক’বছরে দেশের হয়ে পারফর্ম করা আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির বিষয় ছিল। যতটা সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
Signing off from the mat! ❤️
— Dipa Karmakar (@DipaKarmakar) October 7, 2024
Thank you to everyone who has been a part of my journey.
Onto the next chapter🤸🏻♀️🙏🏻 pic.twitter.com/kW5KQZLr29
দীপার যাত্রা
২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস থেকে উত্থান। ভল্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন দেশের হয়ে। ২০১৫ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের ২টো ইভেন্ট থেকে এসেছিল সোনা ও ব্রোঞ্জ। অবসর নিলেও জিমন্যাস্টিক থেকে বেশি দূরে তিনি থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন দীপা। এখন দেখার তাঁর জীবনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours