Waqf Bill: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

Rajya Sabha: নভেম্বরের অধিবেশনে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিল পাশ করাতে কতজন সাংসদের সম্মতি প্রয়োজন সরকারের, জানেন?
rajyasabha
rajyasabha

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি লোকসভায় ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পেশ করেছে মোদি সরকার। বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ বিল। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের অধিবেশনেই বিল পেশ করার কথা ভাবছে সরকার। রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করতে হলে সরকারের প্রয়োজন ১২১ সাংসদের সম্মতি। রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা এখন ৮৬। এনডিএ-র ১১৭। তবে চারজন মনোনীত সাংসদের পদ এখন ফাঁকা। এই আসন পূরণ হলে বিল পাশ করতে সরকারের খুব একটা সমস্যা হবে না। 

রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সমর্থন

বর্তমানে ৬ জন মনোনীত সদস্য ও ২ জন নির্দল নিয়ে রাজ্যসভায় এনডিএর আসন ১১৭। সেক্ষেত্রে ২৩৭ জনের রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক হচ্ছে ১১৯। গত মাসেই রাজ্যসভায় ৪ মনোনীত সদস্যের আসন ফাঁকা হয়। এই ৪ আসন পূরণ হলে রাজ্যসভায় আসন সংখ্যার মোট অঙ্ক হবে ২৪১। এবার এই ৪ আসনে যাঁরা আসবেন, তাঁরা সাধারণত সরকারকেই সমর্থন করবেন বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে সরকারের সমর্থনে থাকবে ১২১ জন সাংসদ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রয়েছে রাজ্যসভায় ভোট। সেখানে ১২ আসনে ভোট হবে। মনে করা হচ্ছে, এই ভোটে বিজেপি ৭টি আসন পেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা, রাজস্থান, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, বিহার থেকে বিজেপি জিতবে। এনডিএতে বিজেপির শরিকরা জিততে পারে বিহার ও মহারাষ্ট্র থেকে। এই অঙ্কের নিরিখে বলা যায় রাজ্যসভায় আগামী দিনে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাশ করতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না মোদি সরকারকে।

আরও পড়ুন: মোদি সরকারের পেশ করা ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ৫টি ইতিবাচক দিক কী? জানুন বিশদে

ওয়াকফ বিল সংশোধনী

১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন (Waqf Bill) পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে এর পর থেকে আইনটির নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরনো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles