মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরীব এবং মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়ণের উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়াকফ আইন সংশোধন (Waqf Act Amendment) করা হবে। এমনটাই জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সংসদের চলতি অধিবেশনে ওয়াকফ বোর্ড সংশোধনী আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। বিরোধীরা বিল আসার আগে থেকেই এই সংশোধনীর বিরোধিতা শুরু করছে। তবে ওয়াকফ বোর্ডের ট্র্যাক রেকর্ড (Waqf Disputes) তাতে সংশোধনী আনা ছাড়া সরকারের হাতে আর কোন উপায় ছিল না। সরকারের দাবি মুসলিমদের পক্ষেই হবে এই সংশোধনী।
ভূ-মাফিয়া বোর্ড (Waqf Act Amendment)
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে গরিব মুসলিমদের জমিও (Waqf Disputes) হাতিয়ে নিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। পুরাতাত্ত্বিক ধরোহর থেকে সরকারি সম্পত্তি সবেতেই হয়েছে ওয়াকফের কব্জা। যেহেতু ওয়াকফ বোর্ডের হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে, তাই যে কোনও মানুষের জমি বা সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবি করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। এই বোর্ডে মুসলিম মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি নেই। একতরফা পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে সকলকে নিয়ে সমান সুযোগ দিতে (Waqf Act Amendment) চায় কেন্দ্রীয় সরকার। মনে করা হচ্ছে, ওয়াকফ বোর্ডের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সংকুচিত হবে এই সংশোধনের মাধ্যমে। ওয়াকফ সংক্রান্ত প্রায় ৪০টি সংশোধনী আনা হবে এই বিলে। যার অন্যতম উদ্দেশ্য সরকারিভাবে যাচাই ছাড়া যাতে ওয়াকফ বোর্ড আর কোনও নতুন সম্পত্তি বা জমি কব্জা না করতে পারে।
ওয়াকফের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Waqf Disputes)
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ বোর্ড আত্মপ্রকাশ করে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এই বোর্ডের সৃষ্টি করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৯৫ এবং ২০১৩ সালে দু-বার সরকার বোর্ডের নিয়ম-কানুন সংশোধন করে। দু-বারের সংশোধনে ওয়াকফ বোর্ডকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপরই ওয়াকফ বোর্ড ভূ-মাফিয়া (Waqf Disputes) হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তাজমহল থেকে শুরু করে তামিলনাডুর হাজার বছর পুরনো মন্দির, এমনকী থিরুচি জেলায় হিন্দুদের ৬টি গ্রাম সবই কব্জা করার চেষ্টা করে এই বোর্ড। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতায় থাকা বহু রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি এবং সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং বহু ক্ষেত্রে কব্জাও করেছে। এই ঘটনাতে তিতি-বিরক্ত সরকার ওয়াকফ বোর্ডকে (Waqf Act Amendment) গরিব এবং মুসলিম মহিলাদের উপকারের জন্য নিয়োজিত বোর্ডে পরিণত করতে চায়।
ওয়াকফের রাজস্ব আদায় খুবই কম
প্রসঙ্গত রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষার পর ওয়াকফ বোর্ড ভারতবর্ষের তৃতীয় সবচেয়ে বড় ভূখণ্ডের অধিকারী। অথচ ওয়াকফ বোর্ড থেকে যে রাজস্ব আদয় হয় তা খুবই কম। এত বড় ভূখণ্ড তাঁদের হাতে থাকলেও ২০০ কোটির চেয়েও কম রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ফলে নয়া সংশোধনীতে (Waqf Act Amendment) এই বিষয়টিও দেখা হবে। যাতে ওই ভূখণ্ডগুলি থেকে রাজস্ব আদয় হয়। এত কম রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দুটি তত্ব উঠে আসছে। হতে পারে ওয়াকফ বোর্ড রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে আগ্রহী নয়।
আরও পড়ুন: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি
অন্যথা, রাজস্ব যা আদায় হচ্ছে তা হয়তো খাতায়-কলমে (Waqf Disputes) দেখানো হচ্ছে না, একথাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নয়া সংশোধনীতে জেলাশাসককে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে যুক্ত করা হতে পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours