মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের জমা জলে মৃত্যু হয়েছে ৩ পড়ুয়ার। জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের গ্রন্থাগারে পড়তে গিয়েছিলন তাঁরা। হঠাৎ বৃষ্টি নামলে ব্যাপক পরিমাণে জল ঢুকতে শুরু করে সেখানে। অনেকে বেরিয়ে যেতে পারলেও ওই তিন পড়ুয়া বের হতে পারেননি। ফলে বেসমেন্টের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম হল, তানিয়া সোনি, শ্রেয়া যাদব এবং নেভিন দালউইন। এদিকে মৃত্যুর প্রতিবাদে কোচিং সেন্টারের সামনে বাকি পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে রবিবার সকাল থেকেই বিজেপি (BJP-AAP) সেন্টারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হয়। মৃত্যুর জন্য আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
পড়ুয়াদের বক্তব্য (Delhi)
পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বলেন, “অবৈধ ভাবে এখানে বেসমেন্টে কোচিং সেন্টার (Delhi) চলছিল। এই মৃত্যুর দায় এমসিডি এবং সেন্টারের নির্দেশকের। কীভাবে বৃষ্টির জল জমছে, তা নিয়ে দিল্লি নগর নিগমকে আরও নজর রাখতে হবে। আগেও অনেক বার জল জমার সমস্যা হয়েছিল এলাকায়। প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। গত বছরও বৃষ্টির জলে গাড়ি ভেসে গিয়েছিল।”
বিজেপির বক্তব্য
বিজেপির (BJP-AAP) মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসা বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা, দিল্লি (Delhi) নগর নিগম আপের। এটি দিল্লি সরকার এবং দিল্লি কর্পোরেশনের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। দেশের জন্য সর্বকালের সব চেয়ে সংবেদনশীল ঘটনা। অত্যন্ত অমানবিক আপ দল। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।” আবার দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা অভিযোগ করেছেন আপ বিধায়কে দুর্গেশ পাঠকের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, “এই এলাকার বিধায়ক অত্যন্ত অপদার্থ। এলাকার মানুষ বার বার ড্রেন পরিষ্কার করার কথা জানালে গুরুত্ব দেননি। জল বোর্ডের মন্ত্রী অতিশী এবং বিধায়কের পদত্যাগ করা উচিত।”
মেয়রের বক্তব্য
দিল্লির (Delhi) মেয়র শেলি ওবেরয় ঘটনাটিকে "খুবই মর্মান্তিক" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। দ্রুত সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।“ অপর দিকে আপ মন্ত্রী অতিশী ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আরও ২০০০ জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?
দিল্লি (Delhi) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচিং সেন্টারে একটি গ্রন্থাগার ছিল। সেখানে শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পড়তে গিয়েছেন ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী। আচমকা বৃষ্টির জলে ডুবতে বসে বেসমেন্ট। অনেকেই আটকে পড়েছিলেন। তবে কেউ কেউ উঠে আসতে পেরেছিলেন, আবার কয়েকজনকে দড়ির সাহায্যে তোলা হয়। কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট ৯ ফুট গভীর ছিল। তার বেশিরভাগ অংশ প্রায় ৭ ফুট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থলে দমকল এবং পুলিশ পৌঁছে পাম্পের সাহায্যে জল বের করে প্রথমে দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। তারও পরে আরও এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তবে কীভাবে এত জল ঢুকল, কেন পড়ুয়ারা বের হতে পারলেন না? একাধিক প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours