Terrorist in Bengal: তানিয়ার পর মহম্মদ হাবিবুল্লা, কাঁকসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার!

Kanksa: পশ্চিম বর্ধমানে এসটিএফের জালে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হাবিবুল্লা …
Terrorist_in_Bengal
Terrorist_in_Bengal

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তানিয়ার পারভিনের পর এবার মহম্মদ হাবিবুল্লার নাম। তাঁকে জঙ্গি (Terrorist in Bengal) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনের ক্ষেত্রেই সাধারণ বিষয় হল, উভয়েই মেধাবী পড়ুয়া। কিন্তু এই কীভাবে এই মেধাবী পড়ুয়ারা জঙ্গিদের জালে ধরা পড়ছে? কেন এই জঙ্গিদের জাল কেটে বের হতে পারছে না, এই বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। তারা প্রত্যেক কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেকে যেমন বিপদে ফেলছে, ঠিক একইভাবে ফেলেছে দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রকেও। যেখানে মেধাবী পড়ুয়াদের মেধা দেশের উন্নতি-প্রগতির জন্য ব্যবহার করা উচিত, সেখানে এই মেধা ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হবিবুল্লা (Terrorist in Bengal)

হাবিবুল্লা পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনের (Terrorist in Bengal) মধ্যে হল আনসার-আল-ইসলাম এবং শাহদাত। তদন্তকারী সংস্থা এসটিএফ জানিয়েছে, হাবিবুল্লা আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার সূত্র মিলেছে। ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে নানান তথ্যের আদান-প্রদান চলত বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার ভাই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃমুসলমান পরিচয় গোপন রেখে বাংলাদেশি যুবক পড়েছেন নন্দীগ্রামের মাদ্রাসায়! চাঞ্চল্যকর তথ্য

আগেও জঙ্গি গ্রেফতার হেয়েছে

আগে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকে স্থানীয় কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী তানিয়া পারভিনকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। জঙ্গিযোগের (Terrorist in Bengal) সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পেরেছিল, নিয়মিত পাকিস্তানের লস্কর কমান্ড্যারের সঙ্গে যোগরেখে চলত তানিয়া। বাদুড়িয়ায় বসেই জঙ্গি মডিউল তৈরি করেছিল সে। এনআইএ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বন্দিপোরার বাসিন্দা আলতাফ নামে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তানিয়ার। এই আলতাফ বাদুড়িয়া থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে আলতাফ কম বয়সী যুবক-যুবতীদের টার্গেট করে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত। তানিয়ার সঙ্গে আলতাফের সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। এরপর লস্ক-ই-তৈবা নামক পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় তানিয়া। কীভাবে তানিয়া ও হাবিবুল্লার (Terrorist in Bengal) মতো যুবক-যুবতীরা এই ভাবে নাশকতা মূলক কাজে যুক্ত হয়, তাই নিয়ে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।    

  

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles