মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ সোনা (Gold Smuggling) শহ এক ব্যক্তিকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করে কাস্টমসের আধিকারিকরা। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা পড়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে ৭০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম শিবকুমার। তিনি কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুরের সহকারী। তাঁর কাছ থেকে বিমান যাত্রা সময় বৈধ সীমার তুলনায় অতিরিক্ত সোনা পাওয়া যায় বলে অভিযোগ। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুবাই থেকে আসা অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে সোনার প্যাকেট হাতে নেওয়ার সময় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
অভিযুক্তের পাশে শশী তারুর
সহকারীর গ্রেফতারের খবর পেয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। তিনি বলেন, “শুল্ক দফতরের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলার নেই। আইন ভেঙে থাকলে আটক করা হবেই। তবে শিবকুমার এমন অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে তাতে আমি বিস্মিত। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন বলে শুনেছি। উনি আমার সর্বক্ষণের সহকারী নন। তবে নানান কাজে তিনি আমাকে সহযোগিতা করেন। শিবকুমার গুরুতর অসুস্থ এবং তাঁর ডায়ালিসিস চলছে।” শশীর সহকারি গ্রেফতার হওয়ার খবরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেরলের রাজনীতি। জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ওঠে এই খবর। ইতিমধ্যেই কেরলের ২০টি আসনে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এরপর থেকে কে কত আসন কে পাবে? তা নিয়ে চলছে বাকযুদ্ধ। তিরুবনন্তপুরমে এবার কংগ্রেস প্রার্থী শশীর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। বিজেপির দাবি এবার তাঁরা কেরলে খাতা খুলবে এবং ভালো ফল করবে।
অতীতেও নেতাদের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ (Gold Smuggling)
এদিকে শশীর সহকারী গ্রেফতারের ঘটনায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপি শিবির। কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমকেও নিশানা করছে তাঁরা। আক্রমণের সুরে বিজেপি নেতারা বলতে শুরু করেছেন বাম কংগ্রেস মিলে সোনা পাচারের কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। রাজীব চন্দ্রশেখর সরাসরি বলছেন কংগ্রেস সাংসদকে প্রমাণ করতে হবে তিনি নির্দোষ। কেরলের পাশাপাশি বঙ্গেও একসময় সোনা পাচারের (Gold Smuggling) ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছিল অবৈধভাবে সোনা ভারতে নিয়ে আসার অভিযোগ। তবে সেই অভিযোগ পরে ঠান্ডা ঘরে চলে যায়।
আরও পড়ূন: মহিলাদের ফোন নম্বর ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক সুকান্ত
দক্ষিণের এই রাজ্যেও সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছিল বছর চারেক আগে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের দিকে সোনা পাচারের অভিযোগ ছিল। সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অফিসের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে সোনা পাচারের অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় বিজয়নের মেয়ে ও জামাইয়ের। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার দাবি করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি এই সুযোগে পুরনো ঘটনাকে ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই ঘটনায় পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ধৃতরা জেলে বন্দি। তবে এক্ষেত্রে বিজেপির অভিযোগ সোনা পাচারে ইন্ডি জোটের দুই শরিক বাম কংগ্রেস যৌথ উদ্যোগে সোনা পাচার (Gold Smuggling) করছে। তবে জোটের সদস্য হলেও কেরলে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী বোঝাপড়া হয়ে ওঠেনি। যার জেরে এবার দক্ষিণের ওই রাজ্যে বিজেপি তাঁদের খাতা খুলতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours