মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার পর শিলিগুড়ির জমি সিল করল পুলিশ। তালার উপর লিখে দেওয়া হয়েছে ডিকে। এই লেখা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। চার মাইলে রামকৃষ্ণ মিশনে দুষ্কৃতী হামলার পিছনে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্ত রায় এখনও অধরা। আবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পিছনে কেজিএফ গ্যাং রয়েছে।
কেন করা হল সিল (Ramkrisha Mission)?
দার্জিলিং জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক বলেছেন, “রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrisha Mission) একটি কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল। সেখান থেকে আশ্রমের কর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে নাকি পুলিশ গেটে তালা ঝুলিয়েছে। ফলে সন্নাসীরা আশ্রমে ঢুকতে পারছেন না। কিন্তু কার নির্দেশে দেওয়া হল তালা? আদলতের কোনও নোটিশ নেই, সিল থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তালা দেওয়ার ফলে দুষ্কৃতীরা যা চাই ছিল সেটাই কার্যত হল।” আবার এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেয়র বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনাকে আমি বরদাস্ত করব না। গোটা বিষয়টি নিয়ে মিশনের সঙ্গে কথা বলব। গুন্ডা মাফিয়া সমাজ বিরোধীদের রেয়াত করা হবে না।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ হামালাকারীদের না খুঁজে জমির মালিককে খোঁজ করছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকার মানুষ।
হামলার পিছনে কেজিএফ!
সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrisha Mission) হামলার পিছনে রয়েছে কেজিএফ গ্যাং। এলাকা দখল অথবা যে কোনও দুষ্কর্ম করার ক্ষেত্রে মাসল ম্যানের জোগান দেয় এই গ্যাং। ঘটনার রাতে কয়েজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা কয়েকজন কেজিএফ গ্যাং-এর সদস্য। জমি দখল করা কাউকে সায়েস্তা করা ইত্যাদি রেটচার্ট ধরে কাজ করে থাকে এই গ্যাং। প্রথম দিকে ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও এরপর তারা জমি দখলের কাজও করে থাকে। তবে এই ধরনের কাজে প্রায় প্রায় করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে হিরণের সেক্রেটারির বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, প্রতিহিংসার রাজনীতি?
ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল
শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩৫ জনের একটি বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrisha Mission) ঘরে ঢুকে হামলা করে। একই সঙ্গে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। এরপর মিশনের সন্ন্যাসীদের শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে বাড়ি থেকে বাইরে করে দেওয়া হয়। একই ভাবে পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠেছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours