মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (Murshidabad) টানা ৫ বারের সাংসদ কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে নির্বাচনে হারাতে তৃণমূল ময়দানে নামিয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্মল কুমার সাহাকে। তৃণমূলও নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে লুফে নিতে বাংলার বাইরের মুসলমান প্রার্থীকে দিয়েছে এই কেন্দ্রে। যদিও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেই ৩০-৭০ শতাংশের কথা বলে জেলার হিন্দুদের বিরাট হুমকি দিয়েছিলেন। এবার আজ বলেছেন, “ইসুউফ পাঠান মুসলমান তাই তৃণমূল এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না।” এই বক্তব্যে ফের এরকবার সাম্প্রিদায়িক উস্কানি দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।
ঠিক কী বললেন হুমায়ুন (Murshidabad)
আজ বহরমপুরে (Murshidabad) চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “শক্তিপুর এলাকায় পুরো ভোটটা মেরুকরণ হয়েছে। কারণ যারা হিন্দু তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন। এই হিন্দুরা এতদিন অধীর চৌধুরীর শেল্টারে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। লোকসভার ভোটে অধীরকেই ভোট দিতো সকলে। বাকি সময়ে সকলে বিজেপি করত, সিপিএম করত আবার তৃণমূলও করত।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ইউসুফ পাঠান যেহেতু মুসলমান তাই তৃণমূলের কোনও এজেন্ট বসতে দেবে না। কিন্তু ইউসুফকে যিনি প্রার্থী করেছেন তিনি হিন্দু নেত্রী। ৬৩ শতাংশ মুসলমানদের ভোট নিয়ে কোনও মুসলমান কেন সাংসদ হতে পারবেন না? এটা ভারতের কোন সংবিধানে বসবাস করছি। যদি হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করা হয় তাহলে আমরা মুসলমানের মুসলিমত্বকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করব। ৯০ শতাংশ ভোট দিয়ে ইউসুফকে আড়াই লক্ষ ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে হারাব।”
আরও পড়ুনঃ যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
আগে কী বলেছিলেন?
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েক দিন আগে হুমায়ুন নিজে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সংখ্যালঘু হিন্দু ভোটারদের তীব্র হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।” এরপর তাঁকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours