মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে তৃণমূলের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব কার্যত সামনে চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রুনা খাতুনকে তৃণমূল বিধায়ক ফুলন দেবী বলে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তারপর বিরোধ কার্যত সামনে চলে আসে।
বিধায়কের পার্টি অফিস ভাঙচুর (Hooghly)
দলীয় নেত্রী রুনা খাতুনের উদ্দেশে মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে কুড়ি-পঁচিশজন সার্ফ শুটার সঙ্গে নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে মহিপালপুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছেন, হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার করিয়ে দেব। দেখব, তাঁর কলকাতার 'বাবু' তাকে কীভাবে বাঁচায়! প্রয়োজনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যাব। তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। রাতেই তৃণমূল বিধায়কের জিরাটের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কাদা লেপে দেওয়া হয়। এমনকী বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মারধরও করা হয়। রুনা খাতুনের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে বিধায়ক অনুগামীদের অভিযোগ।
বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুন
হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের সদস্য রুনা খাতুন বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে যান। টাকাপয়সা লাগলে আমি দেব। আমি একজন শিক্ষিকা। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে বিধায়ক এত নীচে নেমে যাবেন তা ভাবতে পারিনি। আমাকে কিছু বলতে বাকি রাখেননি। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি ও পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত। নিজেই লোক পাঠিয়ে নিজের অফিস ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তাই, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হলাম।
ক্ষমা চাইলেন বিধায়ক
কুরুচিকর ভাষা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে এবার বিধায়ক ক্ষমা চাইলেন। বিধায়ক মনোরঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তুলে নেন। এরপর বিধায়ক বলেন, এমনটা লেখা আমার উচিত হয়নি। ভুলে যাওয়া উচিৎ হয়নি আমি একজন লেখক। ওদের মতো নিকৃষ্ট জীব নই। তাই, আমার পাঠক, রাজ্য তথা দেশের সমস্ত পরিচিত ও অপরিচিতদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours