Jafikul Islam: মারুতি ভ্যানের চালক থেকে কোটিপতি! তৃণমূল বিধায়কের উত্থান যেন সিনেমার চিত্রনাট্য

১২টি কলেজের মালিক ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম!
Jafikul_Islam
Jafikul_Islam

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নতুন 'নায়ক' ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম (Jafikul Islam)। নায়ক এই কারণেই, তাঁর উত্থান কাহিনী সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। ডোমকলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুরের বাড়িতে একটি কয়েন বুথ দিয়ে জীবন শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকে গরুর হাটের মুন্সি, মুড়ির কল। তার পরে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া, হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা, কাশ্মীরে নিরুদ্দেশ, তৃণমূলের প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। শোনা যায়, শুরুতে মারুতি ভ্যানের চালক হিসেবেও বেশ কিছু সময় কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল জীবন। আর আজ? আজ তিনি যে সব জিনিসের মালিক, সেই তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। কী আছে তাতে শুনবেন? 

১২টি কলেজের মালিক? (Jafikul Islam)

জাফিকুল ইসলাম সব মিলিয়ে ১২টি কলেজের মালিক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বিএড কলেজ, তিনটি প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং দুটি ডিগ্রি কলেজ। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যেই তিনি একের পর এক কলেজ করে ফেলেন। গোড়া থেকেই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সমর্থক। সেই সুবাদে তাঁর কলেজের মাঠ সভা-সমাবেশের জন্য ব্যবহার করতেন মান্নান হোসেন। এইভাবেই দু'জনের কাছাকাছি আসা। রাজনীতিতে ঢুকেছিলেন কাউন্সিলার হয়ে। এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই জিতেছিলেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের যোগদান। পরে বিধায়ক হলেন ২০২১ সালের নির্বাচনে। শুধু বাইরে এত সম্পত্তি করেছেন, এমনটাই নয়। তাঁর দুধ সাদা প্রাসাদোপম বাড়িটি দেখলেও চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এই বাড়িরই বেড রুম থেকে শুরু করে, এমনকি টয়লেটেও পাওয়া গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মিলেছে প্রচুর সোনাদানাও। টাকা গোনার জন্য মেশিন এনেও দীর্ঘক্ষণ পরে সব টাকা গোনা সম্ভব হয়েছে। শেষ যা হিসেব বিভিন্ন সূত্র মারফত মিলেছে, তাতে তাঁর বাড়ি (Jafikul Islam) থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।

টার্নিং পয়েন্ট মুড়ির কল? (Jafikul Islam)

এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন, জাফিকুলের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হল মুড়ির কল। ব্যাঙ্ক থেকে এর জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৫৩ লক্ষ টাকা লোন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই সময় তাঁর তো কিছুই ছিল না। তা হলে ব্যাঙ্ক থেকে এই বিরাট অঙ্কের লোন তিনি পেলেন কীভাবে? জানা গিয়েছে,  এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কারণ, ব্যাঙ্ক অভিযোগ পায়, তিনি নাকি মসজিদের সম্পত্তি নিজের নামে দেখিয়ে ওই লোন নিয়েছেন। ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই সময়ই তিনি (Jafikul Islam) নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অনেকে বলেন, তিনি  নাকি কাশ্মীরে চলে গিয়েছিলেন। যাই হোক, পরে ফিরে এসে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রকেট গতিতে শুরু হয় তাঁর উত্থান। 

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles