মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকার বলে পুলিশমন্ত্রী। আর সেই পুলিশকেই (Police) নিশানা করছেন শাসকদলের বিধায়করা। কেউ পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, কেউ আবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভাঙড় থেকে মহিষাদল। শাসক দলের নেতাদের নিশানায় পুলিশ। দলের লাগাম নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশকে (Police) কেন হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় কয়েকদিন আগে একটি ফুটবল ম্যাচের শেষে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় ভাঙড় কলেজ মাঠে। সেই সময় পুলিশ কর্তারা বিশৃঙ্খলা থামানোর চেষ্টা করলে বিধায়ক মাইক্রোফোন হাতে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, 'আমরা তো বলেছি বাজি ফাটবে না। কোন পুলিশ (Police) অ্যারেস্ট করবে? ইয়ার্কি হচ্ছে? মগের মুল্লুক পেয়েছেন নাকি? একবার অ্যারেস্ট করে দেখান।' মাইক্রোফোন হাতে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে বলতে বিধায়ক মঞ্চের নীচে নেমে গিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কিও জুড়ে দেন শওকত। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ কর্তা দমে না গিয়ে পাল্টা বিধায়ককে বলেন, 'আপনি ঘোষণা করলেও ছেলেরা শুনছে না, বাজি ফাটানো বন্ধ করছে না।' সেই সময় শওকত ঘনিষ্ঠ সাদেক মল্লিককে আবার মাইক্রোফোন হাতে পুলিশের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, 'আপনারা শান্ত থাকুন, অযথা হুজ্জোতি করবেন না।'
মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়কও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন
কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল ব্লকের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে তুমুল গণ্ডগোল বাধে বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রামকৃষ্ণ দাসের অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীর অনুগামীদের। সেদিন বিজেপি প্রধানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পালটা, তৃণমূল বিধায়ককে কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ, মারধরের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তীরকে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'পুলিশের (Police) ওইদিন যে ধরনের ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল, সেই ধরনের ভূমিকা পুলিশ নেয়নি।' বিধায়কের এই মন্তব্যকে সমর্থন করে তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি আজগর আলি বলেন,'পুলিশ সব জায়গায় নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করছে না। অনেক জায়গায় পক্ষপাতিত্ব করছে। '
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours