মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেহুলি ঘোষের পর পর বাংলার তিতাস সাধু ও রিচা ঘোষের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) পদক, সোনা জিতল ভারত। চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের সোনা জয়ে গর্বিত দেশবাসী। আর বাংলার মেয়ে 'গোল্ডেন গার্ল' তিতাসের এই সাফল্যে খুশি হুগলিবাসী।
কত বছর বয়সে ক্রিকেটে? (Asian Games 2023)
তিতাসের বাড়ি হুগলির কলেজ রোড এলাকায়। ছোট থেকে ক্রিকেট ভালোবাসলেও সেভাবে তিনি খেলা করেননি। বরং, ছোট থেকে তিনি সুইমিং করতেন। অনেকে ভেবেছিলেন, তিনি সাঁতারু হবেন। যদিও ১৪ বছর বয়সে ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাবা উদ্যোগী হয়ে তাঁকে ক্রিকেট খেলার কোচিংয়ে ভর্তি করেন। সেই শুরু। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই অল্প সময়র মধ্যেই তিনি তারকা হয়ে ওঠেন। স্মৃতি মান্দানা, শেফালী বর্মা, জেমাইমা রডরিগেজ, হরমনপ্রীত কৌরদের মতো সিনিয়র ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ ও তিতাস সাধু। অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিতাস। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাসের বোলিং ফিগার ছিল (৪-৬-২), চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট। আর এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) তিতাস ফাইনালে ( ৪-৬-৩), চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। তাঁর এই পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কার সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ভারত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জেতে। তিতাসের এই সাফল্যের পর চুঁচুড়া কলেজ রোড এলাকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।
কী বললেন পরিবারের সদস্যরা?
তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু বলেন, মেয়ের উপর আস্থা ছিল। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) এই জয় যেমন ভারতকে সোনা এনে দিল, তেমনি তিতাসের সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তিতাসের ঠাকুমা তৃপ্তি সাধু বলেন, ও আমাদের গর্বের মেয়ে। ও যে কিছু করবে সেটা আমাদের বিশ্বাস ছিল। ও আমাদের সেই বিশ্বাস রেখেছে। কাকা রক্তিম সাধু বলেন, তিতাস এখন 'গোল্ডেন গার্ল'। কলকাতার একাধিক পুজো উদ্যোক্তা তাঁদের পুজোর উদ্বোধনের জন্য যোগাযোগ করেছেন। নিজের শহরের পুজো তো রয়েইছে।
কী বললেন তাঁর কোচ?
তিতাসের কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, তিতাস বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, সেটা আবার প্রমাণ হল। ১১৭ রানের টার্গেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা যেভাবে শুরু করেছিল প্রথম ওভারে ১২ রান করে তাতে চাপ বাড়ে। তবে, তিতাস প্রথম ওভারে দুই উইকেট, পরে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেনকে ফিরিয়ে দিয়ে সেই চাপ কাটিয়ে দেয়। বড় ম্যাচ হলেও নিজেকে শান্ত রেখে সঠিক লাইন-লেন্থে বল করে যায় তিতাস। আর তাতেই ভেঙে পরে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন-আপ। আমরা আশা করেছিলাম, তিতাস ভালো খেলবে। ফাইনাল খেলায় ছন্দে ছিল, এটাই বড় কথা। চাপের মুখে স্বাভাবিক থাকতে পারে এটাই ওর গুণ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours