Siliguri: শিলিগুড়ির ছাত্রী খুনে ১২ ঘণ্টা বনধ, কেমন সাড়া মিলল পাহাড়ে?

ছাত্রী খুনে ১২ ঘণ্টা বনধ, পাহাড়ের রাস্তাঘাট ফাঁকা, দার্জিলিংয়ে সর্বাত্মক সাড়া
Siliguri_(9)
Siliguri_(9)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করে খুনের প্রতিবাদে শনিবার পাহাড়ে ১২ ঘন্টার বনধ সর্বাত্মক ছিল। ছাত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মহম্মদ আব্বাসের কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন পাহাড়বাসী  ১২ঘণ্টার বনধ স্বতস্ফুর্ত ভাবে সমর্থন করেন।

পাহাড়ে বনধে কেমন প্রভাব পড়ল?

২০১৭ সালে পাহাড়ে শেষ বনধ হয়েছিল। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে যেভাবে বনধে পাহাড়ের সব কিছু বন্ধ থেকেছে এদিনও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। এদিন  পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা সেবা সেনা। শনিবার সকাল থেকেই সেই বনধের প্রভাব দেখা গেল, গোটা পাহাড় জুড়ে। শুনশান ছিল পাহাড়ের রাস্তা। পাহাড়ের মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই বনধকে সমর্থন করায় পাহাড়ে থাকা পর্যটকদের এদিন হোটেলে কাটাতে হয়েছে। বিকালের দিকে দার্জিলিংয়ের ম্যালে কিছু পর্যটক ঘুরে বেড়ান। এদিন সকাল থেকেই শুনশান পাহাড়ের রাস্তা কয়েকটি গাড়ি চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। শিলিগুড়ি (Siliguri) লাগোয়া সুকন্যাতেও এদিন বনধ সর্বাত্মক ছিল। সেখানেও ছাত্রী খুনের ঘটনার প্রতিবাদ করেন বাসিন্দারা। এনজেপি স্টেশনে নেমে এদিন আর পর্যটকরা পাহাড়ে যেতে পারেননি। সেরকম পাহাড় থেকেও এদিন কেউ সমতলে আসতে পারেননি। ফলে, পাহাড়বাসীর উপর নির্ভর শিলিগুড়ির বাজারগুলি এদিন ফাঁকাই ছিল।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা বলেন, যেভাবে নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে তার সর্বত্র প্রতিবাদ হওয়া দরকার। এধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দিলে আগামীদিনে সামাজিক বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই খুনির কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিনের বনধে পাহাড় সাড়া দিয়েছে। দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ছাত্রী খুনের প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষ নিন্দায় সরব হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারের জন্যও শিলিগুড়িতে এলেন না। অথচ তিনি মণিপুরে যাওয়ার সময় পান। এদিন পাহাড়বাসী বনধে সাড়া দিয়ে তাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতিরও প্রতি (Siliguri) বাদ করেছেন।

কী বললেন শিলিগুড়ির মেয়র? (Siliguri)

শিলিগুড়ি (Siliguri) কর্পোরেশনের মেয়র গৌতম দেব বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তাকে নিন্দা জানানোর আমাদের ভাষা নেই। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছি। অনেক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। তবে, বনধ করে সাধারণ মানুষের আরও বেশি অসুবিধা হয়। এতে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles