মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুলিশ বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের পুরানো মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করে আটকে রাখছে। বোর্ড গঠনের সময় থেকে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড গঠনের এক দিন আগে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
কেন গ্রেফতার বিজেপির জয়ী সদস্য?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই পুলিশ তৃণমূলের কথা মতো মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
কী করে বিজেপি বোর্ড গঠন করল?
হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। এবার ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়েছে ৭টি, তৃণমূলের দখলে আসে ৬টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই একজন জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান বিজেপির জয়ী সদস্য রমানাথবাবু। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। লটারিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য ফিরে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours