মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) সদর ব্লকের মালিদা গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের শাসক শিবিরকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও খড়্গপুরে চায়ে পে চর্চায় যোগদান করে বিভিন্ন বিষয়ে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার সম্পর্কে কী বললেন?
দিলীপ ঘোষ মালিদা গ্রামে (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হিংসার কথা সবিস্তারে শোনেন। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সবরকম সাহয্যের আশ্বাস দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি। পিনকন চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় এই তৃণমূল নেতার। তার মোবাইল থেকে একাধিক প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। এই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকবার বিদেশে যাত্রা করছে। এমনকি বিদেশে যাতায়াত করার সময় কয়েকবার আর্থিক লেনদেনে ধরাও পড়েছে। তৃণমূলের অন্যতম রাখব বোয়াল এই ব্যক্তি। অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে। ধরা যখন পড়েছে আরও অনেক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে।
চায়ে পে চর্চাতে কী বললেন?
মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চার মধ্যে সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট, গণনার দিন ব্যালট ছিনতাই সব রকম অপকর্ম রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল করছে। শুধু এই করেই ক্ষান্ত হয়নি। গণনার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এমনকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও ঘরছাড়া হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে সবদিক থেকে হরণ করছে তৃণমূল।
বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, গত ১৯ এর লোকসভার আগেও বিরোধীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন, মাছ ভাত খাইয়েছেন, কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি বরং একডজন সিট কমে গেছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সিপিএম আজ অপ্রাসঙ্গিক। সবটাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছেন। কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কেউ কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এতো তৃণমূল বিরোধী মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হলেন। কিন্তু কোনও জাতীয় দলের নেতারা কিছু বলছেন না এই বৈঠকে! নিজের দলের মানুষরাই মারা যাচ্ছেন। অথচ দলের নেতারা নির্বাক! অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। এই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল চোরদের বাঁচানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন আর বাকিরা নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন মোদির বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের নামে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ তৈরি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours