মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরু হয়েছে সকাল ৭টায়। নির্বাচনের দায়িত্ব যার কাঁধে, রাজ্যের সেই নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা দফতরে এলেন বেলা ১০টা নাগাদ। ততক্ষণ নির্বাচন কমিশনের দফতর ছিল কার্যত অভিভাবকহীন। সকাল থেকে অনবরত বেজেই চলেছে কন্ট্রোল রুমের ল্যান্ড ফোনগুলি। এদিন সকালে অবশ্য দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য। এসেছিলেন বাকি কর্তারাও। ফোন সামলাচ্ছিলেন তাঁরাই।
রাজ্যজুড়ে ব্যাপক অশান্তি
অথচ নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরুর পরপরই ব্যাপক অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। ভাঙড়ে দেদার বোমাবাজি হয়েছে। কোচবিহার, রানিনগর, কদম্বগাছিতে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ। বেলা ১০ নাগাদ দফতরে এলেন রাজীব। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি। রাজীব আসার আধ ঘণ্টা আগে দফতরে এসে পৌঁছান যুগ্ম কমিশনার সঞ্জয় বনসল। অথচ নির্বাচন শুরু হতে না হতেই বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও বুথ দখলের চেষ্টা হয়েছে, কোথাও আবার ব্যালটবক্সে জল ঢেলে দিয়ে ভোট পণ্ড করতে চেয়েছে দুর্বৃত্তরা। কোথাও আবার মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে। চলেছে গুলিও। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন বিরোধীরা।
এই আশঙ্কাই করেছিলেন বিরোধীরা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) নির্ঘণ্ট হওয়ার পর থেকেই অশান্তির আশঙ্কা করেছিলেন বিরোধীরা। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতেরও। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতও নির্বাচন কমিশনকে পইপই করে বলেছিল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে হবে কমিশনকে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছিল কমিশনকে। সেসব যে কমিশনের কানে ঢোকেনি, এদিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুুন: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তখন অশান্তির প্রতিকার চেয়ে (বেলা ১০টা পর্যন্ত অভিভাবকহীন) কমিশনের কন্ট্রোলরুমে ফোন আসছিল, তখন সেখান থেকে অনেক সময়ই ভুয়ো আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কন্ট্রোলরুম থেকে কাউকে বলা হয়েছে, ঠিক সময়ে পৌঁছে যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাউকে কাউকে আবার থানায় যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিস্তর জলঘোলার পর নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) শুরুর হাতে গোণা কয়েকদিন আগে যখন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায়, তখন তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। তবে শনিবার পর্যাপ্ত পরিমাণ বাহিনী আসেনি। তাই বহু ভোট কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। অভিযোগ, এরই সুযোগ নিয়েছে শাসক তৃণমূল। এমনটা যে হতে পারে সে আশঙ্কা অনেক আগেই করেছিলেন বিরোধীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours