মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কে পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম। চারদিন অনাহারে গ্রামের মহিলা সহ শিশুরা। প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে গোটা গ্রাম। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তৃণমূল (TMC)-সিপিএম সংঘর্ষে গত চারদিন ধরে এই চিত্র পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নং ব্লকের কলাগাড়া গ্রামের। কবে ফিরবে গ্রামের শান্তি, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অসহায় গ্রামবাসীরা।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে গোটা রাজ্যের সঙ্গে অশান্তির কবলে পুরুলিয়া। জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ২৪ জুন গ্রামে সিপিএমের একটি সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেই সভায় তৃণমূল (TMC) হামলা চালায়। ছোড়া হয় ইট, পাটকেল। ঘটনার পর পরই সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করা হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষও সামিল হন। আর এর পরেই ২৫ জুন দিনভর কলাগাড়া গ্রামে লাগাতার হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। অবস্থা সামাল দিতে গ্রামে ছুটে আসে রঘুনাথপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা ঘটনায় অতঙ্কিত গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। গ্রামে ফিরতে পারছেন না পুরুষ সদস্যরা। যে কজন মানুষ গ্রামে রয়েছেন, তাঁদেরকেও পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। গ্রামের দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। অনাহারে গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। নেই প্রশাসনের কোনও সাহায্য। আর সিপিএমের যে দুই প্রার্থীর সমর্থনে গ্রামে এত গণ্ডগোল, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?
সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, নির্বাচনের আগে গ্রাম দখল করতে ও এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূল (TMC) গ্রামে হামলা চালিয়ে বহু বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গৃহহীন হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। আর ভোট না হতেই দলেরই দুই প্রার্থীকে ওরা নিজেদের দলে নিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।
কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?
তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, কোথাও কোনও সন্ত্রাস করা হয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। সিপিএম আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আর দুজন সিপিএম প্রার্থী আমাদের দলে স্বেচ্ছায় এসেছে। জোর করে কাউকে আমাদের দলে নেওয়া হয়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours