মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের ভরা জোয়ারে ঝাড়গ্রাম জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) চারটি আসনে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই! জেলার জামবনি, কাপগাড়ি, দহিজুড়ি, রাধানগর-এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। বিরোধীদের কটাক্ষ, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই অবস্থা শাসক দলের।
কোথায় কী পরিস্থিতি (Panchayat Election)?
জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর সংসদে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসন্তী হাঁসদা, তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোহন সরেন। প্রার্থী পদের নামের তালিকায় মোহনের নাম ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বর নির্দেশ মতো মোহন নাম প্রত্যাহার করে নেন। যার ফলে তৃণমূলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। ওই আসনে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে নির্দল প্রার্থী বাসন্তী হাঁসদার। যদিও কাপগাড়ি অঞ্চল সভাপতি কানু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাসন্তী নির্দল থেকে দাঁড়ালেও আমাদেরই লোক।’’
একই অবস্থা দহিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) ৮ নম্বর সংসদে কামিনী হেমব্রম তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। ঝর্ণা মুর্মু নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থী হিসাবে কামিনীকে মানেনি। যার ফলে কামিনী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তাই ওই আসনে বিজেপি ও নির্দলের লড়াই হচ্ছে।
আবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর সংসদে জয়ন্ত মাহাতো, মনতোষ সিংহ মাহাতো ও তরুণ মাহাতো তিনজনই নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই। জানা গিয়েছে, এটি কুড়মি এলাকাভুক্ত। যার ফলে দলীয় প্রতীকে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, ‘‘জয়ন্ত মাহাতো আমাদের প্রার্থী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্দল হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছে’’।
আর জামবনি ব্লকের জামবনি অঞ্চলের ৪ নম্বর সংসদে তৃণমূলের নামে সুজিত পাত্র ও বিপ্লব রানা মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় প্রতীক দেওয়ার আগে সুজিত পাত্র মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। অথচ সুজিতের নামে দলীয় প্রতীক জমা পড়ে। যার ফলে সুজিত প্রত্যাহার করায় বিপ্লব রানা নির্দল হয়ে যান। ওই আসনে তৃণমূলের দলীয় প্রতীকে কোনও প্রার্থী নেই।
জেলায় মোট ১০০৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১০০৩ টি আসনে, বিজেপি ৭৯৯টি, সিপিএম ৪১১টি, নির্দল ৩৫০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব (Panchayat Election)?
জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘শাসক দলে থেকেই বুথে (Panchayat Election) প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় কিছু হতে পারে না। যেখানে আমরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি, সেখানে প্রার্থী দিতে পারিনি।’’ জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘খোঁজখবর নিয়েছি। কম সময়ে ভোট, তাই অসুবিধা হয়েছে। দলের তরফে যে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল, অঞ্চল সভাপতিরা বদলে দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট আমাদের করেননি। যার ফলে সমস্যা হয়েছিল। কাকে সমর্থন করব, তা ভেবে দেখব।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours