মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে বসেই পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ বসিরহাটের মইনুদ্দিন গাজী বর্তমানে রয়েছেন সৌদি আরবে অথচ তার মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত (Calcutta High Court)। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মামলায় কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখা, কোন প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে কারা সই করেছেন এসব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। ২৮ জুনের মধ্যে কমিশনকে তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছে জমা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার এনিয়ে কী বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?
অভিযোগ, মিনাখাঁর কুমারজুলির তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজি সৌদি আরবে বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?” মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন, ফিরবেন ১৬ জুলাই। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। তাঁরা এও আবেদন জানিয়েছেন, কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিক আদালত (Calcutta High Court)। পাশাপাশি বাতিল করা হোক মনোনয়ন।
একদল মনোনয়ন দিতে পারছেনা, অপর দল বিদেশে থেকেও তা জমা করছে
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা শাসক দলকে চরম ভর্ৎসনা করে বলেন, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”
আরও পড়ুন: নদিয়া সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলিবিদ্ধ পাচারকারীরা
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours