তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
অ্যানিমিয়া এ দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অধিকাংশ মেয়ে রক্তাল্পতার (Anemia) এই সমস্যায় ভোগে। আর তার জেরে পরবর্তীতে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই অ্যানিমিয়া নিয়ে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি কমে। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিই কমাতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা।
কী বলছে সমীক্ষা (Anemia)?
কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি ৪৫ শতাংশ মেয়ে দেশে অ্যানিমিয়ার (Anemia) শিকার। আর ১৫ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, দেশের অর্ধেকের বেশি মহিলা এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলারা একা নন, সংখ্যায় কম হলেও পুরুষরাও অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তাই দেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হল রক্তাল্পতা।
কীভাবে বুঝবেন অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যায় আক্রান্ত?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ায় (Anemia) আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ হাত-পা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। চামড়ার রং পরিবর্তন হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়া থাকলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া হতে পারে ক্লান্তি বোধ। খুব সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হাঁটাচলা বা যে কোনও ভারী কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে না। এটা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
কোন ঘরোয়া পদ্ধতি কমাতে পারে এই সমস্যা (Anemia)?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যানিমিয়ার (Anemia) সমস্যা বেশি হলে অর্থাৎ, দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা খুব কমে গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু কিছু ঘরোয়া খাবার ও পদ্ধতি প্রথম থেকেই মেনে চললে সমস্যা কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিসমিস জাতীয় ড্রাই ফ্রূটস খেতে হবে। কারণ, এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। দেহে রক্ত সঞ্চালন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে এগুলো খুব সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া দরকার।
এছাড়া, আপেল, আঙুর, বেদানা, কলা জাতীয় ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সব ফলে থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যার ফলে, একদিকে রক্তাল্পতার সমস্যা কমে, আবার হাড় মজবুত হয়। তাই এই ধরনের যে কোনও একটি ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার।
নিয়মিত মাছ অথবা মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, এগুলোতে পর্যাপ্ত আয়রন শরীরে যায়। দেহে আয়রন ঘাটতি হলেই অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়বে। তাই যে সব খাবারে আয়রন আছে, তা নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours