মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহজুড়ে চলা তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) অতিষ্ঠ বালুরঘাটের জনজীবন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা কমারও কোনও সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফে। তীব্র গরমের অসহনীয় কষ্ট এখন জেলার মানুষের নিত্যসঙ্গী। পঞ্জিকার হিসেবে চলছে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ। এরপর বৈশাখ মাস অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকার ১৪৩০ বর্ষবরণ হবে আর কয়েকদিন পরে। অর্থাৎ গ্রীষ্মকে বিদায় জানাতে এখনও প্রায় ২ মাস বাকি।
দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি
গ্রীষ্মের গরম ঠিকই রয়েছে, কিন্তু বৈশাখের ঝড় বা বৃষ্টির দেখা নেই। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য আর রাতে ঘরের মধ্যে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। স্বস্তি নেই জেলার কোথাও। প্রত্যাশা শুধু একটু বৃষ্টির। গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় যেখানে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি।
বিপর্যস্ত সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যবাসীকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হতে পারে আরও কিছুদিন। বৃষ্টির দেখা মেলার সম্ভাবনাও কম। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত বছরে একই সময়ে গড় যে তাপমাত্রা ছিল, এ বছর তা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। এদিকে, শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশে দাবদাহের (District Weather Update) চিত্র একইরকম। কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা। দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য ভগবানকে কাতর ও করুণভাবে ডাকছেন অনেকে।
ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে পশুপাখিদের প্রাণও
গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে (District Weather Update) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের পাশাপাশি পশু পাখিদের প্রাণও হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট, মহকুমা গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, হিলি, হরিরামপুর, কুশমন্ডি ও বুনিয়াদপুরে প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন। চলতি বছর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম জনিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের তরল খাবার এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রখর রোদ ও তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন সকলেই।
বিপাকে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ
তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) বিপাকে পড়েছে জেলার পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ। জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। অনেকেই রাস্তার পাশের শরবত ও আখের রস নামিদামি কোম্পানির ঠান্ডা পানীয় অথবা বরফ খেয়ে মেটাচ্ছেন তৃষ্ণা। তবে আপাতত জেলার সকলেই এই গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো যে অপেক্ষা করছেন, তা বলাই বাহুল্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours