মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) ১৮৮-তম জন্মতিথি। ঠাকুরের ভক্তরা নিজ নিজ গৃহে পালন করছে এই দিনটি এছাড়াও বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, জন্মস্থান কামারপুকুর , কাশীপুর উদ্যানবাটি, সারদা মায়ের বাড়ি সহ বিশ্বের যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের মঠ রয়েছে সর্বত্র ভক্তি-নিষ্ঠায় পালিত হচ্ছে এই দিনটি।
বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দিনটি
বেলুড় মঠে ভোর সাড়ে চারটের সময় মূল মন্দিরে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) মূর্তির সামনে মঙ্গলারতি দিয়ে জন্মোৎসব পালনের সূচনা হয়। সেখানেই হয় বেদপাঠ ও স্তবগান। এরপর সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল সহ সারা মঠ ঘুরে কীর্তন করেন। তারপর হয় বিশেষ পুজো ও হোম।
সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠগুলিতে। রামকৃষ্ণ বন্দনা, রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা, ভক্তিগীতি, বংশীবাদন, ভজন, যন্ত্র সংগীত, ধর্মসভা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে চলবে অনুষ্ঠান। এরই মাঝে বেলা ১১টা থেকে ভক্তদের জন্য খিচুড়ি প্রসাদও দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে করোনা পরবর্তী কালে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বেলুড় মঠে পালিত হচ্ছে রামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মতিথি উৎসব।
ঠাকুরের (Sri Ramakrishna) জন্মভিটেতেও মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দিনটি
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Sri Ramakrishna) জন্মস্থান হুগলির গোঘাট থানার কামারপুকুর মঠে এই দিনটি পালিত হচ্ছে মহাসমারোহে। ভোরে মঙ্গলারতির মধ্য দিয়ে ঠাকুরের পূজাপাঠ শুরু হয়। সকালে একটি শোভাযাত্রাও বের করা হয়। তাতে অংশ নেন অসংখ্য রামকৃষ্ণ ভক্ত। সারাদিন ধরে চলবে নানান ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রায় কয়েক হাজার ভক্তের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনদিন ধরে চলবে নানান ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই দিনগুলোতে অসংখ্য ভক্তরা ভিড়ে গমগম করে কামারপুকুর মঠ। স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্তের জেলা থেকে অসংখ্য মানুষ মঠ প্রাঙ্গণে হাজির হন। পাশাপাশি ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে মঠের কাছেই একটি মাঠে আজ থেকে শুরু হয়েছে মেলা। ১৫ দিন ধরে চলবে এই মেলা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours