মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র একেন বাবুর (Eken Babu) স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের মৃত্যু হল বুধবার সকালে। বাইপাসের ধারে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ওটিটি প্লাটফর্মে এবং সিনেমার সুবাদে গোয়েন্দা চরিত্র একেন বাবুর (Eken Babu) জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। প্রয়াত সুজন বাবু আমেরিকাতে প্রবাসী ভারতীয় হিসেবেই থাকতেন। ১৯৬৭ সালে কলকাতা থেকে আমেরিকায় তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন, সেখানে বসেই তিনি রচনা করেন একেন বাবু চরিত্রটি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে তিনি ভুগছিলেন। জানা যাচ্ছে এদিনের ঘটনার সময় লেখক বাড়িতে একাই ছিলেন। সুজন বাবুর স্ত্রী শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এবং তাঁর একমাত্র মেয়ে তিনিও আমেরিকায় থাকেন।
কীভাবে উদ্ধার হল মৃতদেহ
বুধবার সকালে তাঁর পরিচারিকা ফ্ল্যাটে আসেন কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কলিংবেল বাজানোর পরেও দরজা না খোলায়, বাইপাসের ধারে আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে আনেন ওই পরিচারিকা। যখন নিরাপত্তা রক্ষীরা দরজা খুলতে ব্যর্থ হন তখন সুজন বাবুর শ্যালক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে গোটা বিষয়টি বলেন। সকাল দশটা নাগাদ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে জনপ্রিয় এই লেখকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমের মেঝেতে পাওয়া যায় তাঁর দেহ।
পুলিশ কী বলছে
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে সুজন বাবুর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতেও সুজন বাবু তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। লেখকের পরিবার কলকাতায় চলে আসে এই খবর পাওয়া মাত্রই বার্ধক্য জনিত অসুস্থতা ছাড়াও সুজন বাবু ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে আপাতত তাঁর মৃত্যুর কোনওরকম অস্বাভাবিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রয়াত লেখক অনেকগুলি বইও লিখেছেন যেগুলি হল, খুনের আগে খুন, ঢাকা রহস্য উন্মোচিত, ম্যানহাটনে মুনস্টন ইত্যাদি।
পর্দার একেন বাবু (Eken Babu) অনির্বাণ চক্রবর্তী কী বললেন
পর্দার একেন বাবুর (Eken Babu) চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী তিনি সুজন দাশগুপ্তের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বলেন যে আমি সত্যিই এখনও কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা, কিছু আগে খবরটা পেয়েছি, কিছুই ভাবতে পারছি না এখন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours