Joshimath: জোশীমঠকে “ডুবতে থাকা অঞ্চল” ঘোষণা করল স্থানীয় প্রশাসন

বর্তমানে এই এলাকার পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন হয়েছে স্থানীয় সরকার
joshi
joshi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোশীমঠকে (Joshimath) একটি ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল সেখানকার প্রশাসন, ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত কয়েকদিন ধরে জোশীমঠের (Joshimath) বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে , এমনকি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিন সীমান্তগামী সড়কেও ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড দেবভূমি নামেও প্রসিদ্ধ। অর্থাৎ এখানে দেবতারা বাস করতেন একসময়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। হিন্দু ধর্মের বহু তীর্থস্থান এবং পীঠস্থান উত্তরাখণ্ডে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল জোশীমঠ (Joshimath)।  সারা বছর ধরেই ধর্মপ্রাণ ভক্তদের আনাগোনা চলতে থাকে এখানে। এছাড়া পার্বত্য এলাকার মনোরম আবহাওয়ার জন্যও অনেকে আসেন। 

বর্তমানে কী পরিস্থিতি রয়েছে

বর্তমানে এই এলাকার পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন হয়েছে স্থানীয় সরকার। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজ সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন এবং যে সমস্ত মানুষ গৃহহারা হয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ভাড়াতে বাড়ির ব্যবস্থাও সেখানে করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোশীমঠ (Joshimath) শহর তৈরি করা হয়েছিল একটি ভূমিধসের উপরে প্রায় এক শতাব্দী আগে, এমনটা বিভিন্ন কমিটির রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছে। ব্যাপকভাবে নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় শহরের উপরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে চামোলির জেলাশাসক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চামোলির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও অবধি ৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ৬৮ পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে তারা গত রবিবার ৪৬ টি পরিবারকে বিভিন্ন সাংসারিক সামগ্রী কেনার জন্য ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে।  জোশীমঠ (Joshimath) শহরে এই মুহূর্তে ২২৯ টি ঘর বাসযোগ্য রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। ওই ঘর গুলিতে সর্বোচ্চ ১২৭১ জনকে রাখা যেতে পারে। এছাড়া শহরের বেশিরভাগ সমস্ত জায়গা বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুপুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে চলা সমস্ত নির্মাণ কাজও বন্ধ করা হয়েছে এবং শহরের অন্যান্য নির্মাণ কাজ যেগুলো চলছিল সেগুলোও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

জোশীমঠকে "ডুবতে থাকা অঞ্চল" ঘোষণা স্থানীয় প্রশাসনের

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles