মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপীর পর মধ্যপ্রদেশের ভোজশালার (Bhojshala) সরস্বতী মন্দির। শুক্রবারের পর শনিবারও মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার ভোজশালায় চলল পুরাতত্ত্ব বিভাগের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চ গত ১১ মার্চ, সোমবার ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগকে (এএসআই) ধার জেলার ভোজশালায় অবস্থিত মন্দির-মসজিদ বিতর্কের অবসান ঘটাতে সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, হিন্দুদের বিশ্বাস এটি একটি সরস্বতী মন্দির।
শনিবারও চলে সমীক্ষার কাজ
শনিবার সকাল আটটা নাগাদ পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ টিম ভোজশালায় (Bhojshala) পৌঁছায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও হাজির ছিলেন। সমীক্ষার কারণে গোটা চত্বর পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। হিন্দু পক্ষের মামলাকারী আশিস গোয়াল এবং গোপাল শর্মা দুজনেই হাজির ছিলেন। অন্যদিকে, 'কামাল মাওলা মসজিদ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি'র সভাপতি আবদুল সামাদ এ নিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে আজকে সেখানে হাজির হতে পারেননি। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, আদালতের যে কোনও সিদ্ধান্তকে তাঁরা সম্মান করেন।
আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর
বাগদেবীর মন্দির
২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ একটি নির্দেশ জারি করে, ভোজশালার ওই চত্বরে প্রতি মঙ্গলবারে হিন্দুরা প্রার্থনা করতে পারবে। পুজো-অর্চনা করতে পারবে। এছাড়া মুসলিমরা শুক্রবারে ওই একই জায়গায় নামাজও পড়তে পারবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই একটি হিন্দু সংগঠন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা বাগদেবীর মন্দির বলে উল্লেখ করে এই সৌধে এএসআইয়ের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার আর্জি জানায়। আর্জি মেনে নেয় হাইকোর্ট। হিন্দুদের দাবি, ১০৩৪ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত চর্চার জন্য সরস্বতীর মন্দির (Bhojshala) স্থাপিত হয় এখানে। কিন্তু পরে মুঘল সাম্রাজ্যের সময়ে তা দখল হয়। সমীক্ষা কাজের জন্য এএসআই কর্তৃপক্ষ ধার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তাকে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে। উল্লেখ্য, সমীক্ষা রিপোর্ট ২৯ এপ্রিলের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours