India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ ভারতীয় কূটনীতিকের
nijjar(1)
nijjar(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৮তম অধিবেশনে পাকিস্তান কাশ্মীর (India Slams Pak) ইস্যু উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী, যার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ শানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেতাল গেহলট। পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানানো হয়, অধিকৃত কাশ্মীরকে (India Slams Pak) দখলমুক্ত করার জন্য। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি সমর্থন, ফান্ডিং এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এদিন ফের দাবি করেন যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আনতে পারে।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্রভাবে নিশানা করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি পেতাল গেহলট।

কী বললেন ভারতের প্রতিনিধি

ভারতের প্রতিনিধি এদিন বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের (India Slams Pak) অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ডাহা ফেল। সেখান থেকেই নজর ঘোরাতে বারংবার কাশ্মীর ইস্যুর কথা তোলে পাকিস্তান। আমরা অবশ্য আরও বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’’

সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান

সন্ত্রাসকে ফান্ডিং সমেত ভারতে সন্ত্রাসবাদী (India Slams Pak) হামলায় মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক অতীতে পুলওয়ামার হামলাতেও পাকিস্তানের যোগ পাওয়া যায়। এর পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন করে মোদি সরকার। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল অনেক চওড়া হয়ে যায়। অন্যদিকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় কাশ্মীরকে। সব থেকে বেশি বলিউড এবং হলিউডের ছবির শ্যুটিংও শুরু হয় সেখানে। হোটেলগুলোতেও গিজগিজ করতে থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। তার মাঝে ফের একাধিকবার জঙ্গি হামলার প্রয়াস চালায় পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন মাসেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।’ ভারতের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পথ ছাড়তে হবে।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles