মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলে কিংবা স্ত্রীর দ্বারা মানসিকভাবে অত্যাচারিত হলে অন্য সম্পর্কে জড়ানো অন্যায় নয়। এর জেরে কোনও পুরুষকে ডিভোর্সের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)। কোনও মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হলে সংবিধান অনুযায়ী শাস্তি হয় স্ত্রীর।
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার পুরুষও
সিংহভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই শিকার হন গার্হস্থ্য হিংসার। তবে ইদানিং গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন বহু পুরুষ। দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের। শান্তি খুঁজতে জড়িয়ে পড়ছেন পরকীয়ায়। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন পর-নারীর সঙ্গে এই সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। আদালত (Delhi High Court) সূত্রে খবর, ২০০৫ সাল থেকে আলাদা থাকেন এক দম্পতি। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তো নেইই, সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের সম্ভাবনাও নেই।
নির্যাতিত স্বামীর অভিযোগ
স্বামীর অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেন। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছেন তিনি। মামলাটি ওঠে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইতের বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তাঁর পরিবারের প্রতি অসম্মান, দীর্ঘ সময় ধরে ঝগড়া, অশান্তির জেরে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন মামলাকারী স্বামী। এই সমস্যার কোনও সমাধান না দেখে নিরুপায় হয়ে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা থাকেন। স্ত্রীর দ্বারা মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার এই স্বামী তাই বিয়ের এই সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া। স্ত্রীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্বামী।
আরও পড়ুুন: বিকেল পর্যন্ত অভুক্ত রইলেন প্রভু জগন্নাথদেব! পুরীর মন্দিরে কেন এমন ঘটল?
১৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি নীনা বনসান কৃষ্ণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ (Delhi High Court) জানায়, পুনরায় মিলনের কোনও সম্ভাবনা ছাড়া দীর্ঘ দিন বিচ্ছেদের পর যদি কোনও স্বামী নির্যাতন বা হিংসার শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি শান্তি খুঁজে পেতে অন্য প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হতেই পারেন। অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সহবাসও করতে পারেন। এই পরকীয়া সম্পর্ক দেখিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক ও হিংসাত্মক ঘটনার প্রমাণ দিতে পারবেন না স্ত্রী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours