Manipur: বিরাম নেই বিক্ষিপ্ত হিংসার, মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ  

চতুর্থবার বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ...
manipur_violence_f
manipur_violence_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। খোলা হয়েছে স্কুল। তবে বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই কারণেই ফের মেয়াদ বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার। নিষেধাজ্ঞা লাগু থাকবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মণিপুর রাজ্যে শান্তিভঙ্গে ও আইনশৃঙ্খলায় যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ জুলাই বেলা ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে পুলিশের ডিজির চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে, গুলি চলছে। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চতুর্থবার বাড়ানো হল ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

বিক্ষিপ্ত অশান্তি

এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে থাউবাল জেলায় (Manipur) ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল লুণ্ঠনকারীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা রক্ষী ও দাঙ্গাকারীদের মধ্যে। প্রায় ৭০০ দাঙ্গাকারীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় মৃত্যু হয় সামারাম নামে বছর সাতাশের এক যুবকের। তার পরেই দাঙ্গাকারীরা ওয়াংবলে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের তিন নম্বর ক্যাম্পে চলে আসে। পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করার চেষ্টা করে। বাধা দেন জওয়ানরা।

চলল গুলি

শূন্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে দাঙ্গাকারীরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও। এর পরেই পিছু হটে দাঙ্গাকারীরা। পরে তারা পিছু নেয় অসম রাইফেলসের জওয়ানদের। আগুন লাগিয়ে দেয় তাঁদের যানবাহনে। জওয়ানদের (Manipur) লক্ষ্য করে গুলিও চালাতে শুরু করে। গুলি লাগে এক জওয়ানের পায়ে। রোনাল্ডো নামের ওই জওয়ানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে ইম্ফল হাসপাতালে। ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন আরও ১০জনও। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আরও পড়ুুন: "যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল", বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

এদিকে, মাস দুয়েক বন্ধ থাকার পর বুধবারই খুলেছে মণিপুরের ৪ হাজার ৫২১টি স্কুলের তালা। তবে উপস্থিতির হার ছিল কম। হিংসাদীর্ণ কাংপকপি ও চূড়াচাঁদপুরের স্কুলগুলির তালা অবশ্য খোলেনি। এই দুই জেলায় স্কুল রয়েছে ৯৬টির কাছাকাছি। প্রসঙ্গত, সংরক্ষণের দাবিতে সোচ্চার হন হিন্দু মেইতেইরা (Manipur)। তার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের সঙ্গে। সেই কারণেই মাস দুয়েক ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles