মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) যে মস্তবড় ফ্যাক্টর তা গেরুয়া বাহিনীর উপর তৃণমূলীদের লাগাতার সন্ত্রাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ। দুদিন আগেই প্রচার থেকে বাড়ি ফেরার পর বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার হাত থেকে রেহাই পাননি স্ত্রীও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২ নম্বর বুথে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর নাম শ্যামল দাস। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
বুধবার রাতে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন শ্যামল দাস। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা তাঁর বাড়ি চড়াও হয়। মারধর করা হয় বিজেপি (BJP) প্রার্থীর স্ত্রীকেও। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থীর। নগ্ন অবস্থায় ছুটে পালান তিনি। অভিযোগ, বারবার এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অশোকনগর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে বিজেপি প্রার্থীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী শ্যামলবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আমি ছুটে পলিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?
যদিও এই ঘটনায় বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, বিজেপি (BJP) শক্তিশালী হওয়ার জন্য শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাই, বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।
কী তৃণমূল নেতৃত্ব?
অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি নেই। হেরে যাওয়ার ভয়ে ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযেীগ করছে। বুধবার রাতে যে গণ্ডগোল হয়েছে তা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours