মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার শেষ মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করে প্রশাসন। এবার আগামী রবিবার সেখানেই জনসভার ডাক দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে এই প্রথম নয় আগেও একাধিকবার শুভেন্দু-সুকান্তর সভা বাতিল করেছে প্রশাসন। প্রতিবারই হাইকোর্ট থেকে সভার অনুমতি আনতে হয়েছে এই দুই গেরুয়া শিবিরের নেতাকে।
কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?
পটাশপুরে এদিনের সভার অনুমতি না থাকায়, মিছিল করে পথসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি বলেন, আমি ঠান্ডা করার লোক। নন্দীগ্রাম ঠান্ডা হয়েছে। মোমিনপুর ঠান্ডা হয়েছে। শিবপুর, রিষড়া, ডালখোলাও ঠান্ডা করছে এনআইএ। এ বার একই কায়দায় ময়নার বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার এলাকাও ঠান্ডা হবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা। বনধ্-এর দিন দুই বিজেপি নেতা কৃষ্ণগোপাল এবং মোহনলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ, তাদেরকে বের করার দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, পটাশপুর থানার সামনেই মালা পড়াব দুজনকে। তারপর ডুগডুগি বাজিয়ে মিছিল করব। মিছিল শেষে হবে জনসভা।
কেন সভা পটাশপুরে?
১ মে রাতে ময়নায় খুন হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এই ঘটনার পরেই ১২ ঘণ্টা ময়না বনধ্-এর ডাক দেয় বিজেপি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা ঘোষণা করেন জেলাজুড়ে পথ অবরোধের। সেই দিন ওসির নেতৃত্বে পটাশপুরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর সিভিক ভলান্টিয়াররা নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে, গুরুতরভাবে আহত হন জেলা বিজেপির সভাপতি মোহনলাল। বিরোধী দলনেতা তখন অভিযোগ তোলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও সিভিকরা কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করছেন। প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিভিকদের আইন-শৃঙ্খলা জনিত কাজে লাগানো যায়না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার পটাশপুরে জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সভার অনুমোদন বাতিল করে স্থানীয় দুর্গাপুজো কমিটি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours