মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ ইস্যুতে বিজেপির (BJP) রাজভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কলকাতার রাজপথে। শুক্রবার বিকেলে বিজেপির যুব মোর্চার অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ধর্মতলা চত্বর। এদিন বিকালে বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে ইন্দ্রনীল খাঁয়ের নেতৃত্বে শুরু হয় বিজেপির (BJP) মিছিল। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে মিছিল এসে পৌঁছয় ধর্মতলায়। ডোরিনা ক্রসিং থেকে এগিয়ে রানি রাসমণি রোডে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায় পুলিশ। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ব্যারিকেড ধরে ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা। একটা সময় ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন তাঁরা। এরপরই রাস্তায় বসে পড়েন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপির (BJP) নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় উল্টে ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যারিকেড। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। ব্যারিকেড ভাঙার পর, কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক ছুটে যান রাজভবনের দিকে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধর্মতলা এলাকা। উত্তরবঙ্গের বনধের উত্তেজনা কিছুটা এসে পড়ল যুবমোর্চার রাজভবন অভিযানকে ঘিরে।
২০২০ সালে যুবমোর্চার নবান্ন অভিযানে পুলিশি নির্যাতনের রিপোর্ট তলব করল মানবাধিকার কমিশন
অন্যদিকে, ২০২০ সালের ৮ই অক্টোবর, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার শান্তিপূর্ণ 'নবান্ন চলো' কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে শো কজ করেছে তারা। পাশাপাশি, নির্যাতিতদের আর্থিক সাহায্য করা হল না কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০২০-র ৮ই অক্টোবর, বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাওড়া ময়দান। হাওড়া ময়দানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেই সময় ধস্তাধস্তি, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়া, রঙীন জল স্প্রে, কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজপথ। কমিশনের দাবি, সেদিনের ঘটনায় বর্বরোচিত ও নৃশংস আক্রমণ করে পুলিশ। এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours