Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাট করার পরদিন সকালে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল স্ত্রী
Purulia_(1)
Purulia_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ল পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরে। ২০১৭ সালে বারাসতের মনুয়া (Monua) মজুমদার তার প্রেমিক অজিত রায়কে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংকে খুন করিয়েছিল। আর সমস্ত ঘটনাটি বাপের বাড়িতে বসে সে ফোনে লাইভ শুনেছিল। পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরের রাঙ্গুনিটাড় গ্রামের ঘটনাটি অনেকটাই সেরকম। গ্রামের বাড়িতে বসে প্রেমিককে ফোন করে স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাট করার লাইভ আপডেট দেয় স্ত্রী। পরে, প্রেমিকের পরামর্শে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে দেহ পুঁতে দেয়। মৃতদেহে পচন ধরাতে সেখানে লবনও ঢেলে দেয় সে। গোয়ায় বসেই প্রেমিক ফোনে তার প্রেমিকাকে সমস্ত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। ২০ মার্চ রহস্যজনকভাবে জুড়ন মাহাত নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ জুড়নের স্ত্রী উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করেছে। আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হয়েছিল বধূর?

উত্তরার দুই সন্তান রয়েছে। আর প্রেমিক ক্ষেত্রপালও চার সন্তানের বাবা। সে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করে। বছর পাঁচেক আগে উত্তরাদের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করার সময় তার সঙ্গে ক্ষেত্রপালের আলাপ হয়। পরে, ফোন দেওয়া-নেওয়া হয় দুজনের মধ্যে। সময় সুযোগ পেলেই ফোনেই তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলত। পরে, দুজনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে। পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। বছর দুয়েক আগে উত্তরার স্বামী সমস্ত বিষয়টি জেনে যান। আর এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। তাই, প্রেমের মধুর এই সম্পর্কের মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরা।

কী করে খুন করা হল?

২০ মার্চ রাতে জুড়নকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তার স্ত্রী উত্তরা। সেদিন রাতে স্বামীকে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেয়। আর তরকারির মধ্যে সে ২৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ফলে, খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জুড়ন বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এরপরই উত্তরা আসল খেলা শুরু করে। প্রথমে নিজেদের দোকানের বাটখারা করে স্বামীর মাথায় আঘাত করে। পরে, ঘরে তরকারি কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে নেয়। আর এই কাজ করার সময় মোবাইলের অন্যপ্রান্তে গোয়ায় বসেই শুনছিল ক্ষেত্রপাল। পরে, স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জানার পর উত্তরা একাই তাকে টানতে টানতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয়।

কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "২০ ই মার্চ বছর ৪৫ এর জুড়ন মাহাত নিখোঁজ হন। ২২ ই মার্চ তার স্ত্রী উত্তরা মাহাত ও বড় ছেলে অপূর্ব মাহাত থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ২৫ তারিখ জুড়নের ছেলে জানায়, তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই তদন্তে নেমে জুড়ন মাহাতোর বাড়ির বাইরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের দিন উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles