মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজের নীচু তলার মানুষরাও তাঁদের কাজের নিরিখে পদ্ম সম্মান পাচ্ছেন যা তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার। বুধবার নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পদ্মশ্রী সম্মান গ্রহণের পর এমনই বললেন 'সুপার ৩০'-এর প্রতিষ্ঠাতা গণিতবিদ (Celebrated tutor) আনন্দ কুমার (Anand Kumar)। বুধবার মোট ৫২ জনকে পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পদ্মবিভূষণ, পাঁচ জন পদ্মভূষণ এবং ৪৫ জন পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন।
কী বললেন আনন্দ ?
পদ্মশ্রী পেয়ে আনন্দ (Anand Kumar) বলেন, 'পদ্মশ্রী পাওয়ার খবর শোনার পরই আমার মনে হয়েছিল যেন আমার প্রয়াত বাবা রাজেন্দ্র প্রসাদ ওপর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং আমাকে বলছেন, তিনি খুশি; কিন্তু আমাকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। আমি যে সম্মান পেয়েছি তা শুধু আমার স্বীকৃতি নয়, এটা দেশের সেই সমস্ত শিক্ষকদের স্বীকৃতি, যারা তাদের ছাত্রদের জীবনে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন। এই সম্মান আমাকে আরও শক্তি দিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। যারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখে এই দিনটিকে সম্ভব করেছেন, আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
আরও পড়ুন: 'আপনি আমাকে ভুল প্রমাণিত করলেন...' ! প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতঙ্গ শিল্পী রশিদ আহমেদ কাদরি
কে এই আনন্দ ?
৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে ২০০২-এ এই সুপার ৩০ প্রোগ্রাম বা অ্যাকাডেমি প্রথম চালু করেন বিহারের আনন্দ কুমার (Anand Kumar)। ৩০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রকে প্রতিবছর আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বিনা পারিশ্রমিকে অঙ্ক শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের থাকা এবং খাওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। অ্যাকাডেমি চালু করার প্রথম বছরেই আনন্দের ৩০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৮ জন আইআইটি-তে সুযোগ পেয়েছিলেন। পরের বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। লম্বা লাইন পড়ে আনন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে। যার জন্য সেই বছর থেকেই লিখিত পরীক্ষা নিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বাছতে হয় আনন্দকে। ২০০৪-এ ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন সুযোগ পায় আইআইটি-তে। তাঁকে নিয়ে বলিউডে 'সুপার ৩০' ছবি তৈরি হয়। ছবিতে আনন্দের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন হৃতিক রোশন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours