মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে দু দিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিকে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দু দিনের ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপির এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রমুখ। এদিনের ধর্না মঞ্চে দিলীপ বলেন, আলিপুর সংশোধনাগার, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না, তাই এখন তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে।
অভিযোগের বাণ...
তিনি বলেন, আসানসোল থেকে তুলে তিহাড়ে নিয়ে চলে গেল। আইনের হাত কত লম্বা দেখলেন? তিনি বলেন, মোদি আর যোগী যত শক্তিশালী হচ্ছেন, আইনের হাত তত লম্বা হচ্ছে। দিলীপ বলেন, ঘাটালের সাংসদ গতকাল সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি দুর্নীতি। কোনও টাকার হিসেব আসে না। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ডিএর দাবি যে অন্যায্য নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।
বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সরকার সিঙ্গুরে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন। মানুষ ওখানে চোখে সরষে ফুল দেখছেন, কিন্তু সরষের চাষ দেখতে পাননি। তিনি বলেন, সিঙ্গুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হতে পারত, সেই সিঙ্গুরে আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। রাজ্যের শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।
এদিনের মঞ্চে ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী যাঁরা সংবিধানকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তিনি বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঢালাও অর্থ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে। দেখা গেল, প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনাকে খাদ্যসাথী বলে চালানো হয়।
আরও পড়ুুন: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে জব কার্ড হোল্ডার ছিল ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ হয়ে গেল কেন? তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, মোদিজি যখন বললেন, আধারের সঙ্গে জবকার্ড লিঙ্ক করতে হবে, তখনই ১ কোটি জবকার্ড বাদ পড়ে গেল। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে এরা ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours