মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ মার্চ বুধবার অন্নপূর্ণা পুজো (Annapurna Puja)। অগ্রহায়ণ মাসে এই পুজো সারা বাংলা জুড়ে নবান্ন উৎসব হিসেবেই পালিত হয়। আবার চৈত্র মাসে শুক্লাষ্টমী তিথিতেও দেবী অন্নপূর্ণা পূজিতা হন। মা অন্নপূর্ণাকে শিব জায়া পার্বতী রূপে পুজো করার বিধান রয়েছে।শাস্ত্র মতে বাড়ির রান্নাঘর পরিষ্কারের পাশাপাশি গ্যাস-চুলা ইত্যাদির পুজো করা হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এতে মা অন্নপূর্ণা (Annapurna Puja) প্রসন্ন হন এবং বাড়িতে কখনও অন্নের অভাব হয় না এবং সমস্ত রোগ ও শোক দূরে থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মা অন্নপূর্ণার (Annapurna Puja) রূপ ধারণ করে মা পার্বতী সমস্ত জীবকে রক্ষা করেছিলেন।
অন্নপূর্ণা পুজোর (Annapurna Puja) পৌরাণিক আখ্যান
কিংবদন্তি অনুসারে, এমন একটি সময় এসেছিল যখন পৃথিবীতে খাদ্য এবং জল ফুরিয়ে যায়। চারিদিকে অভাব দেখা যায়, হইচই পড়ে যায়। সেসময় মানুষ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের পূজা করত। তাঁর ভক্তদের ডাক শুনে শ্রী হরি বিষ্ণু ভগবান শিবকে তাঁর যোগ নিদ্রা থেকে জাগিয়ে পুরো ঘটনা বললেন। তখন ভগবান শিব মা পার্বতীর কাছ থেকে সন্ন্যাসী রূপে এসে ভিক্ষা চেয়েছিলেন। মা পার্বতী তখন দেবী অন্নপূর্ণা (Annapurna Puja) রূপে ভগবান শিবকে ভিক্ষা দিয়ে জীবকুলকে রক্ষা করেছিলেন।
আবার অন্য একটি পৌরাণিক গল্প অনুসারে, ভগবান শিবের সঙ্গে ঝগড়ার পরে এই দিনে দেবী পার্বতী কালশা পর্বত থেকে চলে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল নিজের প্রয়োজনের খাবারটুকু। তাঁর অনুপস্থিতিতে পৃথিবী জুড়ে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। এটি দেখে ভগবান শিব খাবারের গুরুত্ব টের পান এবং বারাণসীর উদ্দেশে রওনা হন। বারাণসীই তখন পৃথিবীর একমাত্র জায়গা, যেখানে খাবার পাওয়া যায়। শিব সেখানে ভিক্ষার বাটি নিয়ে দেবী পার্বতী সামনে হাজির হন। দেবী তাঁকে খাদ্য দেন। সেই থেকেই দেবী পার্বতী পরিচিত হন অন্নপূর্ণা নামে।
বাংলায় এই পুজোর প্রচলন
অনেক গবেষকের মতে, বাংলাতে অন্নপূর্ণা পুজো (Annapurna Puja) প্রচলন করেছিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পূর্বসূরী ভবানন্দ মজুমদার। দেবী অন্নদার কৃপা পেয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীরের থেকে তিনি রাজা উপাধি লাভ করেন। তবে এনিয়ে অনেক গবেষকের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours