Land Reforms Act: ভূমি সংস্কার আইনে বদল আনল রাজ্য, কেন জানেন?

নয়া আইনে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে...
land_f
land_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার সংশোধন করা হল ভূমি সংস্কার আইন (Land Reforms Act)। এদিন বিধানসভায় সংশোধন করা হল এই আইন। এর ফলে সিলিং বহির্ভূত অকৃষি জমিকে (Non Agricultural Land) টাউনশিপ করতে ফ্রি হোল্ড দেবে রাজ্য সরকার। ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে জমি পড়ে রয়েছে, জনস্বার্থে তা ব্যবহারের জন্যই শর্তসাপেক্ষে এই মনিটাইজেশেনর উদ্যোগ। তিনি বলেন, এটা রাজ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসের হাতিয়ার হয়ে উঠবে। জানা গিয়েছে, নয়া সংশোধনীতে জমির মিউটেশনের ক্ষেত্রে মালিকানা নিয়ে কোনও ত্রুটি থাকলে, যে কোনও সময় তা সংশোধনের ক্ষমতা ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে।

সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা...

এতদিন নিয়ম ছিল, আবেদন জানাতে হলে তা জানাতে হত এক থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যে। নয়া আইনে বলা হয়েছে, সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা পাবে কোনও ব্যক্তি, শিল্পসংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ট্রাস্ট বা সমবায়। এ জন্য সরকারকে নির্ধারিত প্রিমিয়াম দিতে হবে। এও জানা গিয়েছে, যে কাজের (Land Reforms Act) জন্য জমি নেওয়া হবে, শুধুমাত্র সেই কাজেই ব্যবহার করা যাবে। শিল্পতালুক, ফিনানশিয়াল হাব, বায়োটেক পার্ক, লজিস্টিক্স হাব বা ফুড পার্কের পাশাপাশি এই জমি টাউনশিপ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকারের আশা, এই সংশোধনের ফলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে লাভ হবে, তেমনিই বড় শিল্প সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানও উপকৃত হবে। যদিও বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, অম্বিকা রায়দের বক্তব্য, নয়া আইনে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, অকৃষি জমির সিলিং ২৪.৩ একর।

আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে...’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

এদিকে, প্রয়োজনে জমি কিনতে হবে সরকারকে,  অধিগ্রহণ (Land Reforms Act) করতে পারবে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে কল্যাণ বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের পর এই রাজ্যই জমি সংক্রান্ত এমন আইন করেছে। তাই বাস্তবে সেটাই মানতে হবে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ এলাকায় একটি চিড়িয়াখানা করতে জমি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। চিড়িয়াখানার বাইরেও কিছু জমি রয়েছে, যে জমি ব্যবহার করতে পারছেন না জমির মালিক-মামলাকারীরা। এদিন তাঁদের হয়েই সওয়াল করছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, সিঙ্গুরের আন্দোলনের জেরে এই সরকার অন্তত জমি অধিগ্রহণে হ্যাঁ বলতে পারবে না।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles