মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর হতে চলল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। লড়াই থামার কোনও লক্ষণই নেই। আর এর মধ্যেই একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে মস্কো। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা (Russian Intelligence) ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) দাবি করেছ, ইউক্রেন সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা।
দেশের গোয়েন্দা সংস্থার (Russian Intelligence) এই দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতরের তরফেও (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনার (Russia-Ukraine War) পোশাক পরা এক ব্যক্তির বাঁ হাতে রয়েছে আইএসের ইনসিগনিয়া বা প্রতীক। দাবি, আইএস জঙ্গিদের হাতে ঠিক একই প্রতীক থাকে।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থার দাবি
রাশিয়ার দাবি, এই ব্যক্তি ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় মোতায়েন ইউক্রেনীয় সেনার (Russia-Ukraine War) একটি ইউনিটের কমান্ডারের দায়িত্বে রয়েছেন। ভিডিওতে দেখা মেলা ওই ব্যক্তি আদতে আইএস-এর জঙ্গিনেতা বলেও দাবি করেছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা (Russian Intelligence)।
এই ভিডিও ফুটেজ ও ছবি অন্য মাত্রা পেয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহেই মস্কো অভিযোগ করেছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে (Russia-Ukraine War) ইউক্রেনে ওই জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে আমেরিকা। মস্কোর দাবি, রাশিয়ায় হামলা চালাতে ৬০টির মত জঙ্গি গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মার্কিন সেনা। যাদের মধ্যে আইসিস থেকে শুরু করে আল কায়দার মত একাধিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি রয়েছে।
আমেরিকাকে নিশানা রাশিয়ার
এসভিআর-এর দাবি, এই প্রথম আমেরিকা এমনটা করছে তা নয়। এর আগেও, ইউক্রেনের হয়ে লড়তে (Russia-Ukraine War) রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনা পাঠিয়েছে তারা। রাশিয়ার পাশাপাশি কাজাখস্তান, বেলারুশ ও উজবেকিস্তানে এই জঙ্গিদের ভাড়াটে সেনা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। এসভিআর-এর দাবি, সিরিয়ায় ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ চলে। তারপর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইউক্রেনে। রুশ গুপ্তচর সংস্থার দাবি, সিরিয়ায় মার্কিন সেনার আল-তানফ সামরিক ঘাঁটিতে ওই প্রশিক্ষণ চলে।
যদিও, রাশিয়ার তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে ওয়াশিংটন। তারা এই ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একইভাবে, গোটা বিষয়টা থেকে হাত ধুয়ে ফেলেছে ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারও।
+ There are no comments
Add yours