মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে পাক সীমান্তে অনেকটাই বেড়েছে পাকড্রোনের যাতায়াত। এই ড্রোন হানাদারি রুখতে বফর্সের সাহায্য নিয়েছে ভারতীয় সেনা। অনেকাংশে সফলতাও এসেছে। গুলি করে নামানো হয়েছে বেশ কিছু পাক ড্রোন। কিন্তু এভাবে ড্রোন গুলি করে নামানোয় সমস্যা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রে। নিশানা ভুল হলে সেই ড্রোন চলে যায় হাতের বাইরে। তাই এক্ষেত্রে চাই উন্নত প্রযুক্তি (Jammer Guns)।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং পাঞ্জাব-রাজস্থানের সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ড্রোন হানার মোকাবিলার বিষয়টি সম্প্রতি উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্য সেনা এবং বিএসএফ-কে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই পরামর্শ মেনেই জ্যামার বন্দুকের (Jammer Guns) ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চান গুলি করে নামানোর পাশাপাশি ড্রোন হানাদারি রোখার বিকল্প পথ তৈরি হোক। আর এই জন্যেই প্রয়োজন জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns)। দেড় কিলোমিটার পাল্লার এই ‘জ্যামার বন্দুক’ আদৌ কোনও গুলি ছোড়ে না। এর থেকে বার হওয়া বিশেষ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দিয়ে সেগুলোকে অচল করে দেয়, ফলে মাটিতে আছড়ে পড়ে ড্রোনগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেনাবাহিনী এবং বিএসএফের হাতে ইতিমধ্যেই কিছু ড্রোন দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব সীমান্তে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ফলও মিলেছে।
আরও পড়ুন: এবার প্রাণনাশের হুমকি নিতিন গড়কড়িকে, নেপথ্যে দাউদ ইব্রাহিম!
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে শত্রুপক্ষের ড্রোন নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে শুক্রবার। উন্নততর সমাধান বের করতে সেনাকে গবেষণা করতে বলা হয়েছে। ভারতীয় সেনা এবং সীমান্তরক্ষা বাহিনীর হাতে ইতিমধ্যেই ভালো প্রযুক্তি (Jammer Guns) রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবে।
কীভাবে কাজ করে এই জ্যামার গান?
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার হাতে যেসব জ্যামার বন্দুক (Jammer Guns) আছে তার কার্যকারিতা ১.৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। জ্যামারের অদৃশ্য রশ্মি ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি ঘেঁটে দেয়। ফলে প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং সেগুলি মাটিতে পড়ে যায়।
+ There are no comments
Add yours