মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রায়ই গলা ফাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিয়ম করে কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে সস্তা হাততালিও কুড়োন। অথচ তথ্য বলছে, বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশন সূত্রে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের (West Bengal) হাতে আসা টাকার প্রায় অর্ধেকই খরচ করতে পারেনি রাজ্য। মধ্য-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তার আগে ওই টাকা খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, টাকা ঢুকছে। প্রত্যেককে সচেতন করা হয়েছে, যাতে সময়ের মধ্যে খরচ হয়। তিনি বলেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, তা পূরণ করতে মুখ্যসচিব, জেলাশাসক সকলেই তৎপর।
টাকার পরিমাণ...
জানা গিয়েছে, গ্রামাঞ্চলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের চলতি আর্থিক বরাদ্দের ৫০.৪৬ শতাংশ অর্থ এখনও খরচ করতে পারেনি জেলাগুলি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৪৪৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে টায়েড ফান্ডেই পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। পানীয় জল সরবরাহ ও শৌচালয় তৈরিতে এই টাকা খরচ করার কথা। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে আনটায়েড ফান্ডে খরচ না হয়ে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের কম টাকা খরচ হয়েছে ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। ৫২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছবিটাও প্রায় একই।
আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দিতে বলেছিল পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ রামচন্দ্র পান্ডার
মাঝ-এপ্রিলে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাকি টাকা খরচ না হলে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হবে রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূলকে। তাই জারি হয়েছে দ্রুত টাকা খরচের ফরমান। পঞ্চায়েত দফতর টাইমলাইনে জেলাগুলিকে বলেছে, ৯ জানুয়ারির মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলিকে ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেওয়া যায় কাজ।
+ There are no comments
Add yours