মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের ইচ্ছাকে স্বাগত জানাল মোদি সরকার। প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের অনেকেরই শেষ ইচ্ছা থাকে মৃত্যুর পরে তাঁদের অস্থি যেন গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান থেকে অস্থি ভারতে আনা সহজ নয়। এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তানি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা যাতে মৃত ব্যক্তির অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারে তাই তাঁদের ১০ দিনের ভিসা দেওয়া হবে। মোদি সরকারের এই প্রয়াসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পাক হিন্দুরা।
আগের নিয়ম
এতদিন পর্যন্ত ভারত সরকারের নীতি ছিল, একজন মৃত পাকিস্তানি হিন্দুর পরিবারের সদস্যকে ভারতে আসার জন্য ভিসা দেওয়া হবে, যদি ভারতে বসবাসকারী তাঁর আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেউ তাঁকে স্পনসর করে। এমন পাকিস্তানি হিন্দুর সংখ্যা বেশ কম, যাঁদের আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ভারতে থাকেন। করাচির সোলজার বাজারের শ্রী পঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দিরে শত শত মানুষের অস্থি রাখা রয়েছে। যাঁরা রেখেছেন, সেইসব পরিবারগুলির আশা এইসব দেহাবশেষ গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া যাবে। এব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা
নয়া নিয়ম
মোদি সরকারের নয়া নীতি অনুসারে,যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনের অস্থি গঙ্গায় বিসর্জন দিতে চান, সেই সব হিন্দু পরিবারগুলি ১০ দিনের জন্য ভারতে আসার ভিসা পাবে। এইসময়ের মধ্যে তাঁদেরকে আচার-রীতি মেনে গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দিতে হবে। ভারতে এসে সোজা উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে যেতে পারবে ওই পরিবারগুলি এবং ধর্মীয় আচার অনুযায়ী,গঙ্গায় অস্থি বিসর্জন দিতে পারবে। প্রথম পর্বে অন্তত ৪২৬টি পাকিস্তানি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা তাঁদের প্রিয়জনের অস্থি হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর অস্থি যদি হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়, তাহলে তা স্বর্গের পথ পায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours