মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে চিনের দ্বিচারিতা! মারণ ভাইরাস (Covid 19 in China) করোনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। শ্মশানঘাটগুলি উপচে পড়ছে লাশের স্তূপে। তার পরেও শি জিনপিংয়ের দেশের দাবি, চিনে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি করোনা সংক্রমিত হয়ে। চিন সরকার জানিয়েছে, প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার (Corona) সংক্রমণের কারণে কেবলমাত্র যাঁরা শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন, তাঁদেরই করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হবে। নচেৎ নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবে চিন (China) শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। তাদের মতে, চিন সরকারের ওই বক্তব্যেই স্পষ্ট, করোনার প্রভাবে যাঁদের মৃত্যু হবে, তাঁদের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হবে না। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ী, যেখানে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু (সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যাই হোক না কেন) হয়েছে, সেখানেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
চিনের দাবি...
চিনের দাবি, ২০ ডিসেম্বর সে দেশে করোনার কারণে মৃত্যু হয়নি একজনেরও। মঙ্গলবার দেশে ৩ হাজার ১০১ জনে করোনা সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। চিন সরকারের এহেন দাবির মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন এক দেহ-সৎকার কর্মী। তাঁর দাবি, শ্মশানঘাটগুলিতে দেহ রাখার জায়গা নেই। অনবরত জ্বলছে চুল্লি। দেহ-সৎকার কর্মীদের কয়েকজন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন শ্মশানঘাটে জমে রয়েছে লাশের পাহাড়। এ ছবিটা হুবহু এক চিনের উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে। চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছড়িয়েছে, দেহ দাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সৎকার কর্মীরা।
আরও পড়ুন:ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের
ন্যাশনাল হেল্থ কমিশনের দাবি, দেশে করোনায় (Covid 19 in China) নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে সোমবার করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। হুয়ের পরামর্শদাতাদের মতে, চিন তড়িঘড়ি করে করোনা পরিস্থিত শেষ বলে ঘোষণা করেছে। এর জেরেই ঘনিয়েছে বিপদ। এরিক ফেইগেল ডিং নামে এক বিজ্ঞানী অবশ্য জানিয়েছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ এবং গোটা বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমিত হতে পারেন। তার জেরে মৃত্যু হতে পারে কয়েক মিলিয়ন মানুষের। এদিকে, চিনের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে রাজি আমেরিকা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, চিন সহ গোটা বিশ্বকেই করোনার মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours