মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোন তৈরির ইতিহাসে নয়া সংযোজন। বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের ড্রোনের উৎপাত। আর এবারে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ড্রোনকে ধ্বংস করতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরী করা হচ্ছে। সীমান্তরক্ষীদের ব্যবহারের জন্য ভারতে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ড্রোন। এদিন বিএসএফ (BSF) থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে, তা অন্যান্য ড্রোনের তুলনায় অনেক গুণ ভালো ও শক্তিশালী।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) থেকে বলা হয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনগুলি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক বহনকারী ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। চলতি বছরে এই বিশেষ ড্রোন প্রায় ১৬ টির মত অনুপ্রবেশকারী ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
বিএসএফ-এর (BSF) ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, “ড্রোন একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ যদিও আমরা সীমান্তে একটি অ্যান্টি-ড্রোন সেট আপ করেছি, তবে আমাদের এমন কোনও সেটআপ নেই যা পুরো পশ্চিমাঞ্চলকে কভার করে৷ আমরা অনেক ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি৷ আগামী দিনে, আমরা এই নতুন প্রযুক্তিটি আরও অনেক এলাকায় ব্যবহার করতে পারি।”
তিনি আরও বলেছেন, এমন ড্রোনও তৈরি করা হচ্ছে যা কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফেলতে পারে। তিনি বলেন, "টেকানপুরে, আমাদের টিয়ার-গ্যাস ইউনিট এই ধরণের ড্রোন তৈরি করেছে যেগুলি পাঁচটির মতো শেলও বহন করতে পারে, এবং শেলগুলিকে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত, এই প্রযুক্তিটি শুধুমাত্র তৈরি করা হয়েছে এবং কোনও সেনাবাহিনীদের দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক
বিএসএফ-এর (BSF) মতে যেসব ড্রোন সাধারণত ব্যবহার করা হয় তা চিনে তৈরি ও ব্যয়বহুলও। ফলে বিদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি করা ড্রোনের থেকে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রোন অনেক নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও এগুলো ভালোভাবে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলিকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। তাই তারা এখন থেকে দেশের তৈরি ড্রোন তৈরিতেই বেশি নজর দিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো ঘন কুয়াশাতেও যাতে কাজ করতে পারে ও ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস শনাক্ত করতে পারে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে। ফলে এই ড্রোনগুলো দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, সীমান্তে প্রায় ৫,৫০০ ক্যামেরা লাগাতে চলেছেন তাঁরা। আর এসবের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে অস্ত্রশস্ত্র, মাদক, জাল টাকা পাঠানো হচ্ছে ভারতে। আকাশপথে তার মোকাবিলা করার প্রযুক্তি এতদিন ভারতের অধরা থাকলেও এবারে অনুপ্রবেশকারী পাক ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিতে আসতে চলেছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিশেষ ড্রোন।
+ There are no comments
Add yours