Land Acquisition: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্যে জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে তৈরি আইন মানতে নারাজ তৃণমূল সরকারই।
Calcutta_highcourt-1-750x430
Calcutta_highcourt-1-750x430

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় আইন মেনেই। রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গুর আন্দোলনের জেরে তৈরি এই জমি অধিগ্রহণ আইন এখন মানতে নারাজ এক সময়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই।

আরও পড়ুন: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে ব্রিটিশ আমলের জমি অধিগ্রহণ (Land Acquisition) আইনের বদলের দাবি ওঠে দেশজুড়ে। তৎকালীন ইউপিএ ২ সরকার ২০১৩ সালে পাশ করে নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন। সেই সরকারের অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল তৃনমূলও। নতুন আইনে জমিদাতাকে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন সেই আইনই মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের  

এমনই অভিযোগে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কিছু জমিদাতা। সেই মামলার বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নির্দেশ দেন, রাজ্যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) জন্য জমি দিতে হবে ২০১৩ সালের অধিগ্রহণ আইন অনুসারে। এমনকী কোথাও অধিগ্রহণের বকেয়া এখনো মেটানো না হলে সেক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই আইন। সমস্ত জমিদাতার সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রশাসনকে। ৬ মাসের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া। এই রায়ের ফলে রাজ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন মামলাকারী।

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার হিসাবী ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা এই বিষয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত (Land Acquisition) জমির জন্য তাঁদের নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। জমির দাম নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মামলাকারীরা।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে বলেন, "আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সরকার মেনে নেবে।" অন্যদিকে জমিদাতাদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও (Land Acquisition) রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবকটি ধারা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়নি। এই জটিলতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ পাবেন। আদালতের এই নির্দেশ দীর্ঘদিনের জটিলতা মেটাবে।” 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

 
 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles