মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন যত এগোচ্ছে তত নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক চাঞ্ল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবারে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনের নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে (Primary Recruitment), আর এর নেপথ্যেও ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। গতকাল আদালতে চাঞ্চল্যকর এই দাবি করল ইডি (ED)। আবার এই মামলায় এখন শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক নেই, ইডির স্ক্যানারে রয়েছে তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।
জামিনের আবেদন খারিজ
অন্যদিকে ফের জামিনের আবেদন করেছিল মানিকের আইনজীবী (Manik Bhattacharya)। কিন্তু গতকাল দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ফের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। আাগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। ফলে তিনি আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন।
আরও পড়ুন: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি...”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?
ইডির কী দাবি?
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করে ইডি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে যে, টাকার বিনিময়ে ৩২৫ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের, যার পেছনে হাত রয়েছে মানিকের। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এদিন আদালতে জানান, এই ৩২৫ জন ২০১৪ সালে টেট দেন। তদন্তে উঠে এসেছে যে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ওই চাকরিপ্রার্থীদের পাশ করাতে সাহায্য করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।
ইডির স্ক্যানারে মানিকের পরিবারের সদস্যও
নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই নাম উঠে এসেছিল মানিকের (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিকের। এবারে নাম উঠে এসেছে মানিকের ভাই, জামাই ও জামাইয়ের বাবারও। শুনানিতে ইডি দাবি করে, মানিকের জামাই ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন হওয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। তাই এ নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
কিন্তু অন্যদিকে আদালতে মানিকের আইনজীবী দাবি করেন, মানিককে নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে তা সব বেআইনি। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে চার্জশিট দিয়েছে বা এফআইআরে মানিকের (Manik Bhattacharya) নাম নেই। আর এসব শোনার পর গতকাল তাঁর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে দেয় ও ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
+ There are no comments
Add yours