মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসাবে শুক্রবার সকাল থেকেই মাঝসমুদ্রে গিয়ে মাইকিং শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে ব্যস্ত তাঁরা। সকাল থেকেই দেখা যায় মাইক হাতে চলছে কড়া নজরদারি৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। কালীপুজোর পরের দিন মঙ্গলবার সিত্রাং এর প্রভাবে শুরু হয়ে যেতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে সর্বশক্তি দিয়ে আগামী ২৬ অক্টোবর, বুধবার সকালে বা বিকেলে ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office)।
মৌসম ভবন জানায়, ইতিমধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি সোমবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আইএমডি সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে মৎস্যজীবীদের রবিবারের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মাঝসমুদ্রে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাহিনী। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কিভাবে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নদী উপকূল জুড়েও চলছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মাইকিং ও টহলদারি। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। সুন্দরবনে পর্যটনে ব্যবহৃত জলযানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সবকিছু সামাল দিতে নদী ও সমুদ্রযানের পাশাপাশি কোস্টগার্ড আকাশযানও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কণ্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours