মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এবার সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বোলপুরের প্রোমোটার রানা সরকার। বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সেইমতো বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI)-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন রানা সরকার। সিবিআইয়ের নির্দেশে শান্তিনিকেতনের রতন কুঠি অস্থায়ী ক্যাম্পে সকালেই চলে আসেন বোলপুরের প্রমোটার সৌমেন সরকার ওরফে রানা সরকার। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মধ্যে বেশ কয়েকবার টাকা লেনদেন হয়েছে অ্যাকাউন্ট মারফত। সেই প্রসঙ্গেই জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, এই প্রোমোটারের হাত ধরেই কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি,বেশ কিছু জমি কিনেছিল বোলপুরেরই বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন আধিকারিকেরা।
বোলপুরের প্রফেসর কলোনির বাসিন্দা রানা। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত দু’মাস আগে বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি তাঁর অনুগামী ব্যবসায়ী সুদীপ রয়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায় তারা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজ্যোতি দিনের বেশিরভাগ সময় থাকতেন কেষ্টর বাড়িতে। অনুব্রতর কাজের দেখাশোনা করতেন তিনি। এরপর বিশ্বজ্যোতিকে আটক করেন গোয়েন্দারা। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে রানা সরকারের নাম।
আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?
অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও সোমবার সমস্ত নথি নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। পুজো মিটতেই ‘শিব শম্ভু’ রাইসমিলেও অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। রাইস মিলের বর্তমান মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে সিবিআই। সিবিআই মনে করছে, গরু পাচারের টাকা একাধিক খাতে ব্যবহার করে সাদা করেছিলেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর কাছে এও তথ্য আছে, ২০১৫ সালের পর থেকে অনুব্রত কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রচুর নগদ টাকা জমা হত। সেই সব ক’টি বিষয় খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।আগামী সোমবারের মধ্যে সেসব নথি দেখাতে হবে সুকন্যাকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours